সিউড়ি–সাইথিয়া সড়কের দু’পাশে পাশাপাশি দুটি গ্রাম কুখুডিহি ও কাঁখুড়িয়া। স্থানীয় মানুষদের মতে, এই দুই গ্রামে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ প্রধান্য রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যই তৃণমূলের। কিন্তু সম্প্রতি কাখুড়িয়া গ্রামের স্থানীয় একটি ক্লাবের বেশ কিছু সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পাশাপশি এই দুই গ্রামে অশান্তি শুরু হয়। গ্রামের নিয়ন্ত্রণ তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে মুড়ি–মুড়কির মতো বোমাবাজি করল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
বুধবার সকালে এই ঘটনায় সিউড়ি থানার কুখুডিহি– কাখুড়িয়া গ্রাম রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বোমার আঘাতে জখম একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ও এক প্রবীণ মহিলা–সহ ৩ সাধারণ গ্রামবাসী। আহতরা সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। গ্রামে টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী–সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা।
২১ জুলাইয়ের ধর্মতলায় শহিদ দিবসের প্রস্তুতি হিসেবে দিন তিনেক আগে কুখুডিহি–কাখুড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের একটি মিছিল হয়। সাহেবের নেতৃত্বে বিজেপি–র দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে একদল দুষ্কৃতী কাখুড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের ওই মিছিলের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর পর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। গ্রামের তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপি–তে যাওয়া সাহেবের নেতৃত্বেই ২৫–৩০ জনের একটি দল বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ কুখুডিহি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। এলোপাথারি পাথরও ছোঁড়া হয়।