টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর ব্যাটে ভর করেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখেছিলো ইংল্যান্ড। লড়াকু ৮৪ রান করে ফাইনালে তিনিই সমর্থকদের কাছে হয়ে যান রাজা। শুধু ফাইনাল কেন, গোটা বিশ্বকাপেই ব্যাটে-বলে মারকাটারি পারফর্ম করেছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।
স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারটিও জিতে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু জানেন কি, ২৮ বছর বয়সী বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডে। তাঁর বাবা-মা এখনও সেখানেই থাকেন। এমনকী ফাইনালের দিন স্টোকসের বাবা গেরার্ড স্টোকস সাপোর্টও করেছিলেন কিউয়িদেরকেই।
১৯৯১ সালের ৪ জুন নিউজিল্যান্ডে জন্ম বেন স্টোকসের। জন্মের পরও বেশ কিছু বছর ক্রাইস্টচার্চেই ছিলেন স্টোকস। তাঁর বাবা গেরার্ড রাগবি লিগ কোচিং করাতে কামব্রিয়া চলে এলে তাঁর সঙ্গেই গোটা পরিবার ইংল্যান্ড পাড়ি দেয়। সেই ১২ বছর বয়সেই ইংল্যান্ডে চলে আসে বেন।
বেন ইংল্যান্ডে থেকে গেলেও তাঁর বাবা-মা এখন ক্রাইস্টচার্চেই থাকেন। সেখানে বসেই তাঁকে ‘হজম’ করতে হল ছেলের দুর্দান্ত লড়াইয়ে নিজের দেশের হার। সেই গেরার্ড জানালেন, নিউজিল্যান্ডের হারে মন খারাপ ঠিকই , তবে ছেলের সাফল্যে গর্ব অনুভব করছেন।
তাঁর কথায়, “নিউজিল্যান্ডের হারে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। ট্রফির এত কাছে পৌঁছেও দেশে ট্রফি না নিয়ে ফেরাটা খুবই হতাশাজনক। তবে বুকে হাত রেখে বলছি, বেন এবং ইংল্যান্ডের জন্যও আমি খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু আমি এখনও নিউজিল্যান্ডেরই সমর্থক।” ছেলের থেকেও তিনি যে এখনো দেশকেই এগিয়ে রাখছেন এই বিষয়টিও তারিফযোগ্য।