২০১৯-এর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাঁর ব্যাটে ভর করেই স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে খালি হাতে বাংলাদেশ ফিরলেও সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তবুও টুর্নামেন্টের শেষে সেরার শিরোপা পাননি তিনি। সেই জায়গায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, সাকিব সেরা নন কেন? কেন তাঁকে উপেক্ষা করা হল? অথচ বিশ্বকাপের বল গড়ানোর পর থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব।
প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৮৪ বলে ৭৫ রানের অনন্য ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার সাকিব। রান তাড়া করার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে নতুন দিশা দেখান তিনি। জেসন হোল্ডার,ক্রিস গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩২২ রান তাড়া করতে নেমে সাকিবের ব্যাটে ভর করেই অসাধ্যসাধন করে ‘টাইগার’রা। ১২৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে জয়ও এনে দেন তিনি। গ্রুপ লিগে অস্ট্রেলিয়া, ভারতের কাছে বাংলাদেশ হার মানলেও নিয়ম করে রান করে গিয়েছেন সাকিব।
শুধুই ব্যাট নয়, বল হাতেও একাই বিপক্ষের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৮ ইনিংসে মোট ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট নেওয়ার অনবদ্য নজির গড়েন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তাঁর এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, গ্যারফিল্ড সোবার্সের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েন এই বঙ্গ ক্রিকেটারও।
তবুও সাকিব কেন পেলেন না ‘প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট’-এর সম্মান? এখানেই ক্ষোভ বাড়ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অঙ্কের হিসেবে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের দলের প্রতি অবদান ২৮.৫৭ শতাংশ। অপরদিকে সাকিবের অবদান ২৮.২৫ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে, এখানেই পিছিয়ে পড়েছেন বাংলাদেশি এই ক্রিকেট তারকা। তবুও তাঁর অবদান তো অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। তাই এখন সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হতে গেলে, আর কী করতে হবে সাকিবকে?