লোকসভার ভোটে কারচুপি হয়েছে। তাই এই ফলাফলের প্রভাবে ২১ জুলাইয়ের জমায়েত আরও বড় আকার নেবে। আত্মবিশ্বাসী রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
তে আর মাত্র পাঁচ দিন। খুঁটিপুজো শেষে সোমবার ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। শহীদ দিবসের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। সমর্থন জানাচ্ছেন অনেকেই। লোকসভায় আসন কমলেও রাজ্যে ভোটের পরিমাণ বেড়েছে। সেই পরিসংখ্যানেই আস্থা রেখে এবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ব্যালট ফেরানোর দাবিতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরব হবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে দেওয়া হচ্ছে শহীদ সভার খবর। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ ২১ জুলাই ‘ধর্মতলা চলো’ ডাক দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই মুখ্যমন্ত্রী ইভিএমের কারচুপির অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আগে থেকে বহু কেন্দ্রে ইভিএমে প্রোগ্রামিং করা ছিল। তা না হলে বিজেপি ৩০০ আসন পেত না। কারচুপির আঁচ আগেই পেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কাছে বহু অভিযোগ করেও আমরা কোনও বিচার পাইনি। এই নির্বাচনে বিজেপি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করেছে, সন্ত্রাস করেছে। আমেরিকায় ইভিএম বাতিল করা হয়েছে।’ এখানে বাতিল হবে না কেন বলেও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। ওইদিনই তিনি ঘোষণা করেন, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ইভিএম নয়, ব্যালটের দাবি করা হবে।
রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ২১ জুলাইয়ের হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। লাগানো হয়েছে পোস্টার। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তৈরি করা হয়েছে তোরণ। দূরের জেলা থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণ ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। সেন্ট্রাল পার্কের দায়িত্বে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, গীতাঞ্জলিতে সুশান্ত ঘোষ, উত্তীর্ণ-তে যুব নেতারা, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দেখাশোনা করবেন উত্তর কলকাতার নেতা ও কর্মীরা। শিয়ালদা, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনেও ক্যাম্প করা হবে। বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের স্বাগত জানিয়ে থাকার ব্যবস্থা বলে দেওয়া হবে।
ভোটের ফলাফলে যেটুকু প্রাথমিক ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল, তা তারা কাটিয়ে উঠবে বলেই আত্মবিশ্বাসী দলের শীর্ষ নেতারা। সুব্রত বক্সির কথায় তারই আভাস মিলেছে। তিনি বলেন, শহীদ স্মরণের এই বার্ষিক কর্মসূচীতে দলের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মেলে। তাঁর মতে, অন্যান্যবার যেসব দলীয় কর্মী-সমর্থক ধর্মতলায় আসতে পারেন না, এবার তাঁরাও আসবেন। দেশে যে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি মাথাচাড়া দিচ্ছে, তার মোকাবিলায় সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই এবারের শহীদ দিবসের তাৎপর্য অনেক গভীর বলে মনে করে তৃণমূল।