যেন মগের মুলুক! প্রথম দফাতেই বিরোধীদের তরফে ‘ফ্যাসিস্ট’ তকমা জুটেছিল তাদের। আর এবার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই আরও লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। পরিস্থিতি এমনই যে এখন আর বিরোধীদের কোনও আপত্তি বা পরামর্শেও কান দিচ্ছে না তারা। যা সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই ভাল ইঙ্গিত নয়। এবার যেমন বিরোধীদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তুমুল বাকবিতণ্ডার পরেও লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (সংশোধিত) বিল, ২০১৯।
এই বিলের দ্বারা সংশোধন করা হল ২০০৮ সালের এনআইএ আইন, যার সুবাদে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তালিকাভুক্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচারের ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছে। একইসঙ্গে, এই আইনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিচারের উদ্দেশ্যে বিশেষ আদালত গড়ার ক্ষমতাও প্রাপ্ত হয়েছে। এনআইএ বিলের আওতায় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছে মানব পাচার, জালনোট, অবৈধ অস্ত্র নির্মাণ, সাইবার-সন্ত্রাস এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে উল্লিখিত অপরাধ।
তবে সোমবার বিরোধীদের তরফে আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কার কথা জানান হতেই অবস্থা সামাল দিতে শাহ বলেন, মোদী সরকার কখনও ধর্মের ভিত্তিতে আইনের অপব্যবহার করবে না। আবার সংশোধিত এনআইএ আইন পাশ করাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি সর্বদলীয় সমর্থন চাইলে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, ভারতকে ‘পুলিশ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর কথার রেশ ধরে অন্যান্য বিরোধী নেতারাও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এই আইন পাশ করাতে চলেছে কেন্দ্র।