এবারের বিশ্বকাপে মোটেও চেনা ছন্দে ছিলেন না মাহি। বরং প্রতি ম্যাচে তিনি যেভাবে ডট বল খেলছিলেন তাতে করে চিন্তা বাড়ছিল গোটা দলের। শেষ ম্যাচে যতই ধোনির জন্যে পার্য জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাক ভারত, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল ধোনি ফুরিয়ে আসছেন। না, অবসর নিয়ে তিনি এখনও বোর্ডকে কিছু জানাননি কিন্তু আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে ধোনির ভবিতব্য নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন নির্বাচকরা।
চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই আক্ষেপ করে ধোনি বলেছিলেন, “সকলে তো চায় আমি এখনই অবসর ঘোষণা করি। কিন্তু আমি এখনও এনিয়ে কিছু ভাবিনি।” এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে হয়তো টুর্নামেন্টের পরই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানাবেন ধোনি। কিন্তু বিশ্বকাপ থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পরও তেমন কোনও খবর নেই। এবার ধোনির খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বিসিসিআই-ই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক নাকি জানিয়েছেন, ধোনি অবসর ঘোষণা না করলেও হয়তো তাঁকে আর দলে রাখা হবে না।
একদিকে যখন জাভেদ আখতার-লতা মঙ্গেশকর থেকে আপামর জনতা চাইছেন আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যান ধোনি, তখন বিসিসিআইয়ের কাছে যে ক্যাপ্টেন কুলের আর মূল্য নেই, সেটাই প্রকট হয়ে উঠল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে লড়ে দলকে খাদের মুখ থেকে বের করে এনেছিলেন ধোনিই। তা সত্ত্বেও হারের দায় যেন তাঁর কাঁধেই চাপিয়ে দেওয়া হল। বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁর সময় ফুরিয়েছে। ভারতীয় বোর্ডের এমন অবস্থানের পর ধোনি কী করেন, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “ধোনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি দেখে আমরা রীতিমতো অবাক হচ্ছি। ঋষভ পন্থের মতো তরুণরা সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। বিশ্বকাপে আমরা সবাই দেখেছি ধোনি আর আগের মতো নেই। ছয় বা সাত নম্বরে এসেও পেস খেলতে পারছেন না তিনি। আর দলের উপর এর প্রভাব পড়ছে।” শীঘ্রই এনিয়ে ধোনির সঙ্গে কথা বলবেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ। এমনটাই জানান ওই আধিকারিক।
তাহলে কি আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে জায়গা পাবেন না ধোনি? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকের সাফ কথা, “আমার মনে হয় না নির্বাচকরা ধোনিকে নেওয়ার কথা ভাবছেন। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে হয়তো দলে রাখা হবে না।” সঙ্গে জুড়ে দেন, “বিশ্বকাপে যাতে ফোকাস নষ্ট না হয়, তার জন্য ধোনির সঙ্গে আমরা অবসর নিয়ে এতদিন কোনও আলোচনা করিনি। কিন্তু এবার মনে হয় তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে।”