রবিবার ছিল ক্রিকেটের নামে। বিশ্বকাপ ফাইনালে এক রোমহর্ষক ম্যাচের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী। সাধারণত ফুটবলে এইরকম উত্তেজনা দেখা যায়। তবে শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। নিজেদের নামের পাশে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সিলমোহর রাখল ইংরেজরা। তবে এই হাসির পাশে একটি মানুষের কাহিনী কোথাও চাপা পড়ে গেল। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
ব্যক্তিত্বে ভরপুর এই ব্যক্তি প্রদীপের নিচের অন্ধকারেই থেকে গেলেন। ক্রিকেটের আগ্রাসনের মধ্যে কোথাও যেন তিনি এক ঠান্ডা মাথার মানুষ। আগ্রাসী না হয়েও যে কিভাবে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা যায় সেটাই শেখালেন বিশ্ববাসীকে। কোথাও যেন স্মরন করালেন ধোনির স্মৃতি। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ তকমা যেন তাঁর জন্যও প্রযোজ্য সেটাই বোঝালেন মাঠে থেকে।
বিশ্বকাপে সেরার শিরোপা তাঁর নামের পাশে এসেছে। তবে দেশকে বিশ্বকাপ দিতে না পারার যন্ত্রনা ছিল তাঁর চোখে-মুখে। তবে তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বিশ্ববাসী। গ্ৰুপ লীগে প্রায় ছিটকে গিয়েও আবার দলকে ফিরিয়ে এনেছেন মুলস্রোতে। সেমিফাইনালে ‘ফেভারিট’ ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তিনিই। আর ফাইনালে যখন সবাই ধরে নিয়েছিল ম্যাচটি একপেশে হবে সেখান থেকে এইরকম ম্যাচ উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রেখেছে নিউজিল্যান্ড। সামনে থেকে সেটা নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তিনি।
সঙ্গে তৈরি করেছেন অন্য এক ইতিহাস। বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের মাইলফলক উইলিয়ামসনের। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনের রেকর্ড ভেঙে দিলেন কিউয়ের অধিনায়ক। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে জয়বর্ধন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত রান ছিল ৫৪৮। সেই রেকর্ড আজকের ফাইনাল ম্যাচে চূর্ণ করলেন উইলিয়ামসন। ১২ বছরের এই রেকর্ড ভেঙে নতুন একটি মাইলফলক তৈরি করলেন তিনি।