আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যাপারে আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সোমবার সে বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিল নবান্ন।
এ ক্ষেত্রে আর্থিক আয়ের উর্দ্ধসীমা ৮ লক্ষ টাকা রেখেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রথমত, পারিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম হলে তবেই এই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে। এখানে আয় বলতে, চাকরিতে বেতন, ব্যবসা, কৃষি আয় ইত্যাদি সবই ধরা হবে। দ্বিতীয়ত, পারিবারিক মালিকানায় ৫ একরের কম কৃষি জমির মালিকানা থাকলে তবেই এই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে। তৃতীয়ত, আবেদনকারী বা তাঁর পরিবার এক হাজার স্কোয়ার ফুট আয়তনের তুলনায় ছোট ফ্ল্যাটে থাকলে এই সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। চতুর্থত, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির আওতায় যাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা পান তাঁরা এর আওতায় পড়বেন না। এই সব ক’টি শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে সংরক্ষণ।
বিধানসভায় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে রাজ্যেও সাধারণ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। এবার সেই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করল নবান্ন। উল্লেখ্য, জানা গেছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকার ব্যাপারে শংসাপত্র সংগ্রহের পর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা মহকুমা শাসকের দফতরে সংরক্ষণ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যাবে।