গতকাল খেলার শুরুতে বিশ্বকাপ ফাইনাল উপহার দিচ্ছিল সত্তর দশকের নেতিবাচক ক্রিকেট। পরে অবশ্য ওয়ান ডে ক্রিকেটের শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। গতকাল ফাইনালে প্রশ্ন উঠল লর্ডসের সবুজাভ উইকেট নিয়ে যেখানে আকাশ মেঘলা থাকায় বল প্রথমার্ধে সুইংও করল মারাত্মক। ফলে ফাইনালের উইকেট নিয়ে ফের কাঠগড়ায় আইসিসি। একেবারে ঘাসে ঢাকা পিচে ফাইনাল হচ্ছে দেখে বিস্মিত তেন্ডুলকর থেকে লারা, শেন-সহ অনেকে।
শেন বলছেন, “ ফাইনালে আরও ভালো ব্যাটিং উইকেট আশা করেছিলাম। এই ধরণের উইকেটে বড় স্কোরের ম্যাচ দেখতে পাওয়া কঠিন। উইকেট ভালো হলে এই ম্যাচে আরও রান হত”।
রবিবার নিউজ়িল্যান্ড ইনিংস শেষে সচিন বলেন, ‘‘ফাইনালের চাপ যে দল নিতে পারে, তারাই জেতে। এ নতুন কথা নয়। তাই বেশির ভাগ দলের অধিনায়কেরাই ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে নিতে চায়। যাতে রান তাড়া করার চাপ নিতে না হয়। কেন উইলিয়ামসনও সেটাই চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই উইকেট টস জিতে ব্যাট করার মতো নয়। প্রচণ্ড ঘাস। তাই পেসারেরা সাহায্য পেয়েছে। আমরা দেখেছি ক্রস সিমে বল করেও সাফল্য আসছে। যেমন দেখা গেল লায়াম প্লাঙ্কেটের ক্ষেত্রে।’’
ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা অবশ্য কেনের পাশেই দাঁড়ালেন। বললেন, ‘‘আমিও টস জিতলে ব্যাটিংই করতাম। লর্ডসের উইকেট দ্বিতীয় ইনিংসে বদলায়। মাঠের ঢালের জন্য ইনিংস জুড়ে সাহায্য পায় বোলাররা। তাই শুরুতেই ব্যাট করে নেওয়া ভাল। আর এ ধরনের পিচ থাকলে তো আরওই ব্যাট করে নাও। কারণ, পরের দিকে বল কী রকম ব্যবহার করবে বলা যায় না।’’
তবে নিউজ়িল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে খুশি হতে পারেননি তিনি। ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে উইলিয়ামসনের দল। লারা মনে করেন, মার্টিন গাপ্টিলের ছন্দে না থাকাই কাঁটা হয়ে দাঁড়াল নিউজ়িল্যান্ডের। বলছিলেন, ‘‘মার্টিন গাপ্টিলের সব চেয়ে খারাপ বিশ্বকাপ গেল হয়তো। এ দিন শুরুতে ছন্দে দেখাচ্ছিল ওকে। তবুও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারল না। এলবিডব্লিউ হওয়ার পরে ডিআরএস-ও নষ্ট করল। যার ফল ভোগ করতে হল রস টেলরকে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘একটি দলের ভিত গড়ে তাদের ওপেনার। সেখানে গাপ্টিল কোনও ম্যাচেই সেরাটা দিতে পারেনি। তাই হাল ধরতে হচ্ছিল উইলিয়ামসনকে। একদিন ও উইকেটে থাকতে পারেনি, সে দিনই এই অবস্থা।’’