আচমকাই লর্ডস যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। অ্যাডাম চ্যাডউইক ছিলেন লর্ডস যাদুঘরের কিউরেটর। মাস ছয়েক হল ভদ্রলোককে উইম্বলডন তুলে নিয়ে গেছে সেখানকার যাদুঘরের উন্নতির কারণে। ব্যাপারটা ফলে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো প্রতিযোগিতা হাতে থাকা সত্ত্বেও লর্ডসের যাদুঘরে এবার তেমন কোনও জাঁকজমক দেখা গেল না।
১৯৮৩–তে কপিলদেব ট্রফি নিচ্ছেন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে, এই ছবিটা বড় করে লাগানো আছে আলাদা ক্যাবিনেটে। তারপর এই মাঠে ট্রফি জিতেছিল স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া। ওই মুহূর্তও ধরা আছে পাশের ক্যাবিনেটে। কমবয়সী কপিলের ছবির পাশাপাশিই হঠাৎ নজরে পড়ল নীল জার্সি। সৌরভ গাঙ্গুলির। নম্বর ৯৯। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার পর লর্ডসের ব্যালকনিতে যেটা তিনি উড়িয়েছিলেন। গত বছরও এই জার্সিটা ছিল একটু পেছনের দিকে। এবার কপিলদেবের ছবির পাশেই রাখা আছে। ঠিক তলায় মিতালি রাজের জার্সি। সই করা। বছর দুয়েক আগে লর্ডসের ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর ওই জার্সি মিতালি দিয়ে গিয়েছিলেন।
ভারতের ক্যাবিনেটে আছে আরও কিছু স্মারক। তবে কপিলদেবের বিশ্বজয়ের ছবির পাশে সৌরভের ন্যাটওয়েস্ট জেতার জার্সি কেন, এ প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। হতে পারে মিস্টার চ্যাডউইকের অনুপস্থিতি। তবে এটা ঘটনা যে, কপিলদেবের পাশে সৌরভ থাকলেন লর্ডসের যাদুঘরে। অন্য কোনও বাঙালির তো লর্ডসের যাদুঘরে কোনও স্মারক নেই।
প্রতি বছর এই যাদুঘরে নতুনত্ব দেখতে পাওয়া যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ইংল্যান্ড সফর করে, তখন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের ব্যবহৃত সামগ্রী আলাদা করে ক্যাবিনেটে রাখা হয়। যাতে সবাই বুঝতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও তা–ই। রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়া, ডন ব্র্যাডম্যানরা এগিয়ে আসেন যাদুঘরের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে। চ্যাডউইক চলে যাওয়ায় যাদুঘরের ভেতরটা বিবর্ণ। তবে অল্প সময়ের মধ্যে যথাসম্ভব করে দেখানোর উদ্যোগ দেখা গেল।