২০১৪ সালের লোকসভায় মোদীকে সামনে রেখে লড়াই করার কথা বলাটা তাঁর ভুল ছিল বলেই মনে করেন তিনি। তাই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই মোদীর বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কন্ঠরোধ এবং দলে স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এবং তারপর থেকে একাধিকবারই বিজেপি তথা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন তিনি। এবার ফের মুখ খুলেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভাবের ঘরে চুরি’র অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট প্রোজেক্ট’ (এনএইচডিপি) এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-র (পিএমজিএসওয়াই) মতো মোদী সরকারের দু’টি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প আসলে তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি করেছেন একদা বাজপেয়ী সরকারের এই মন্ত্রী। এক্ষেত্রে তাঁর একদা সহযোগী বিজেপির সহযোগীরা এই সমস্ত প্রকল্পের কৃতিত্ব ‘অনৈতিকভাবে’ নিজেদের নামে চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ী মন্ত্রীসভায় অর্থ এবং বিদেশ মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন যশবন্ত। শুধু তাই নয়। ১৯৯০-৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের মন্ত্রীসভাতেও অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনী ‘রিলেন্টলেস’। সেখানেই যশবন্ত লিখেছেন, ‘জাতীয় হাইওয়ে প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে আমার চিন্তাভাবনা ছিল। আমার কাছে এনএইচডিপি নতুন কোনও চিন্তাভাবনা নয়। সত্তরের দশকে আমি জার্মানিতে নিযুক্ত থাকার সময় এই চিন্তাভাবনা আমি লালনপালন করে আসছি। জার্মানিতে অটোবনসের (যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত হাইওয়ে ব্যবস্থা) ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ এছাড়াও ওই বইতে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক কারণে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যশবন্ত। যা গেরুয়া শিবিরের কাছে এখন বেজায় অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে।