সমাপ্তি ঘটল এক অধ্যায়ের। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর রবিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ মৃত্যু হল বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। এ কারণে গত প্রায় ছয় মাস ধরে রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও শপথ অনুষ্ঠানে যাননি এরশাদ। অসুস্থতার কারণে বিরোধীদলীয় নেতা হয়েও একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
২৬ জুন অসুস্থতা বেড়ে গেলে এরশাদ নিজেই ব্যক্তিগত সহকারীদের নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময়ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সূত্রের খবর, ফুসফুসে সংক্রমণ, বিকল কিডনি ও রক্তে হিমগ্লোবিনের সল্পতা নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ভরতি হন। টানা দশ দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। এর পর এদিন তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবারই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম কাদের জানিয়ে দেন, এরশাদের কোনও অঙ্গ আর কাজ করছে না। রোজ ডাকলে চোখ মেলে তাকাতেন। এখন আর তাও করছেন না।
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালুসহ ৯ বছরের শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর পর গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ থাকেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশে।