দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা রকম কারণে জনতার হাতে মার খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও গরু চোর সন্দেহে, আবার কখনও গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই অজুহাতে। তার সঙ্গে জুড়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করে মারধর। ক্ষিপ্ত জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া নতুন নয়। এই সেই আইনভঙ্গের খেসারত দিতে হল এক আইনরক্ষককে। গণপিটুনির শিকার এ বার এক পুলিশকর্মী।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলায়। কুঁয়ারিয়ার বাসিন্দা হেড কনস্টেবল আবদুল গনি (৪৮) একটি জমি নিয়ে গোলমালের তদন্ত করতে গেছিলেন। একটি জমির জবরদখলের অভিযোগের তদন্ত করছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তার থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। উন্মত্ত জনতা আবদুল গনিকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। গত কয়েক বছরে রাজস্থানে গণপিটুনির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাকবর খান নামে বছর আঠাশের এক যুবককে গরু চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারে কিছু লোক। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে পহলু খান ও তাঁর দুই ছেলে জয়পুর থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় নিজেদের গ্রামে ফেরার পথে একদল লোক তাঁদের ঘিরে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করে। তাতে মৃত্যু হয় পহলু খানের। ক্ষিপ্ত জনতার এই রোষ মাঝে মধ্যেই মাত্রা ছাড়ায়। যার খেসারত দিতে হয় কিছু নির্দোষ মানুষকে।