বাংলা জুড়ে অব্যাহত গেরুয়া সন্ত্রাস। লোকসভা ভোটের বেশ আগে থেকে গোটা বাংলায় যে সংঘর্ষের আবহ সৃষ্টি করেছিল বিজেপি তা এখনও জারি রেখেছে তাঁরা। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে এই গেরুয়া সন্ত্রাস আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। কিছুদিন আগেই ২১ জুলাইয়ের দেওয়াল লিখন নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার ফের ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে লাগানো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি–সহ বড় বড় পতাকা–ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া ও তৃণমূল নেতার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপি–র বিরুদ্ধে।
মির্জাপুর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আদিত্যকুমার ঘোষ বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের মির্জাপুর গ্রামে বিজেপি–র হার্মাদরা তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের ওপর নানাভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। এলাকায় শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অত্যাচারিত তৃণমূল নেতা–কর্মীরা মুখ বুজে সহ্য করে চলেছেন। কিন্তু আগামী একুশে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ধর্মতলা যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে মির্জাপুর ও দেওয়ানদিঘি গ্রামে প্রচুর বড় বড় ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি–সহ ওই সব ফ্লেক্সগুলিকে বুধবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেয়। সেই সঙ্গে দলীয় পতাকাগুলিও ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেয়। এভাবে শান্ত মির্জাপুরকে অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই বিজেপি হার্মাদদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পরপর এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি ও মির্জাপুর এলাকায়। এ ব্যাপারে বর্ধমান থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তিরও দাবি জানানো হয়েছে।