‘ও মরি, স্বভাব তো কখনও যাবে না’, এই বিখ্যাত লোকসঙ্গীতটি যেন গেরুয়া শিবিরের জন্যই লেখা। কারণ যত দিন যাচ্ছে ‘ঘৃণ্য রাজনীতি’ আর বিজেপি যেন ক্রমশই সমার্থক হয়ে উঠছে। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীদের মানহানি করতে তাঁদের বক্তব্যের ভিডিওকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালাচ্ছিল তারা৷ ভোট মিটেছে। কিন্তু বিরোধীদের, বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুচিহীন, বেলাগাম আক্রমণ থেকে এখনও সরে আসতে পারছে না বিজেপি। সেইসঙ্গে লোকসভা ভোটে তলে-তলে রামের সঙ্গে হাত মেলানো বামেরাও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা-বিরোধীতার জন্যে কুরুচিপূর্ণ নানা পোস্টকেই হাতিয়ার করছে।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরামির চরমতম সীমা অতিক্রম করলো রাম-বাম। তাদের নয়া সংযোজন এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো একটি ছবি! তাজমহলের সামনে দাঁড়ানো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি দিয়ে ওপরে লেখা হয়, ‘এই ছবিটা যদি ঠিক সময় কোনও একটা ছেলের বাড়িতে পৌঁছতো, তাহলে আজ ৯ কোটির জায়গায় একটা মানুষের জীবন ধ্বংস হতো।’ পুরনো একটি ছবি আর তার সঙ্গে এমনই নারীবিদ্বেষী এক ক্যাপশন দিয়ে সিপিএম ও বিজেপি একযোগে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্নভাবে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তৃণমূল সমর্থকদের পাশাপাশি সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা করতে গিয়ে বিজেপি এবং বামেরা আখেরে কিছু মানুষের হাসির উদ্রেক করে দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু গভীরভাবে ভাবতে গেলে এটা আসলে তাদের মানসিকতারই পরিচয় বহন করছে। অশালীন এবং নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করায় বরাবরই সিদ্ধহস্ত গেরুয়া শিবির। যে কারণে ভোটের আগে এবং ভোট চলাকালীন বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছিল বিজেপির নেতা-নেত্রীদের নাম। তবে দেখা যাচ্ছে, এ হেন ঘৃণ্য কাজেও এবার রামের দোসর হল ‘বিদ্যেবোঝাই’ বামেরা।