বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে যুক্ত হল বিজেপি ঘনিষ্ঠ আরএসএসের ইতিহাস। আর এই বিরল ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়েছেন দেশের শিক্ষাবিদরা। ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে। জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকা ইতিহাসের পাঠক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে আজব যুক্তি দিল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অনেকে অভিযোগ তুলছেন দেশের ইতিহাসকে বদলে দিতে চাইছে আরএসএস।
প্রসঙ্গত, বি.এ ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠক্রমে এই জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে রয়েছে কংগ্রেস পার্টির জন্ম এবং জওহরলাল নেহরুর উত্থান। তারপর রয়েছে আন্দোলনের কথা। এবং তৃতীয় ধাপে বিস্তারিতভাবে রয়েছে জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকা।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বোর্ডের সদস্য সতীশ চাফলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘ইতিহাসের নতুন ধারায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে। সেখানে এবছর জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকা বিষযটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। নতুন মার্কসবাদও এখানে রাখা হয়েছে।’
এই ঘটনার পর জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অন্যান্য দলগুলো এই বিষয় নিয়ে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত টুইট করে লেখেন, ‘কোথা থেকে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকার তথ্য পেল? এটা অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক একটি শক্তি। যাঁরা ইংরেজদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। এমনকী কখনও তেরঙ্গা ঝান্ডা তুলে ধরেনি স্বাধীনতা দিবসে।’ উল্লেখ্য নাগপুরেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দপ্তর। সেই জন্যই কি প্রভাবিত হয়েছে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।