দ্বিতীয় দফার শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দাদের অনেকেরই আশা ছিল কেন্দ্রে সরকার গঠনের পরে হয়তো শিল্পাঞ্চলের জন্য নতুন কোনও সুবার্তা আসবে। বন্ধ কারখানাগুলি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু ঠিক উল্টোটাই হতে চলেছে। এমনটাই দাবি বিভিন্ন কারখানার কর্মীদের। দুর্গাপুরে এএসপি ও চিত্তরঞ্জনে সিএলডব্লুর কর্মীরা এখন বিলগ্নিকরণ ইস্যুতে আতঙ্কে রয়েছেন। ডিএসপি, ইস্কো এবং ইসিএলের কর্মীরাও প্রহর গুনতে শুরু করেছেন। সেকারণে নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পরেও একের পর এক কারখানা বিলগ্নিকরণের ইস্যুতে শিল্পাঞ্চলে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এএসপির বিলগ্নিকরণ নিয়ে চর্চা হতে থাকে। নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এবার সিএলডব্লু নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন কারখানার কর্মীদের দাবি, এরপরে হয়তো কেন্দ্রীয় সরকার ডিএসপি, ইস্কো বা ইসিএলকে বেসরকারিকরণের দিকে এগবে। এই কারখানাগুলিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন চাকরি করেন। তাঁরাও বেকায়দায় পড়ে যাবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সিএলডব্লু, এএসপি এবং ইসিএলের সদর অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ইস্যুতে তারা দুর্গাপুরে মিছিল করারও পরিকল্পনা করেছে। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, বিজেপি দ্বিচারিতা করছে। ওরা শ্রমিকদের পথে বসাতে চাইছে। মানুষ তার জবাব দেবে। কারখানা বাঁচাতে আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। লাগাতার আন্দোলন চলবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ইস্যুতে তৃণমূল লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাদের শক্তি বৃদ্ধি হতে বেশি সময় লাগবে না। শ্রমিকদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই তারা বাজিমাত করতে পারবে। শিল্পাঞ্চলে কারখানা এবং কয়লাখনি ছাড়া বিকল্প আয়ের কোনও উৎস নেই। তাই কারখানাগুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হলে জেলাজুড়ে তার প্রভাব পড়বেই।