দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাছ চাষিদের মধ্যে জায়গা করে নিল বাংলার তিন মৎস্যচাষি, তিনজনই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার বাসিন্দা৷ নিত্য নতুন অভিনব পদ্ধতির সফল প্রয়োগ, জৈব উপায়ে পরিবেশ বান্ধব চাষ ও বৈচিত্রময় মাছের সফল চাষে হলদিয়া রাজ্যে রোল মডেল। শুধু রাজ্যে নয় সারা দেশে মাছ চাষে এক নতুন পথ দেখাচ্ছে হলদিয়া। হলদিয়া ব্লক মৎস্য সম্প্রসারন আধিকারিকের কাছে জাতীয় সেরা মাছ চাষির স্বীকৃতি সংক্রান্ত চিঠি এসে পৌছেছে৷ বুধবার ১০ই জুলাই ২০১৯ “কেন্দ্রীয় মিষ্টি জলের মাছের গবেষনা কেন্দ্র” ( সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেস ওয়াটার একুয়াকালচার ) এর মৎস্যচাষি দিবস অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষের সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ সারা দেশের বাছাইকরা সেরা মাছ চাষিদের দেওয়া হবে শ্রেষ্ঠ সম্মাননা।
হলদিয়া ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “প্রায় জৈব পদ্ধতি অবলম্বন করে গুনগতমান বজায় রেখে স্বাস্থ্যকর মাছ উৎপাদন করাই হলদিয়ার মাছ চাষিদের প্রধান বৈশিষ্ট । শুধু মাছ চাষ করে নিজের আয় বাড়ানোটাই মুখ্য নয়, দেশের বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া মাছের বাণিজ্যিক চাষের মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে আনার এক অদম্য উদ্যোগ রয়েছে মাছ চাষিদের মধ্যে”। হলদিয়া ব্লকে মৎস্য দফতরের সাহায্যে সরকারি আর্থিক অনুদান সহ রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋন পেয়ে মাছ চাষের পরিধি আরো বাড়ান। গত বছর রুই, কাতলা, মৃগেল প্রভৃতি কার্প জাতীয় মাছের অধিক ফলন করায় ব্লকের সেরা মাছ চাষির পুরস্কারও পান।
হলদিয়া ব্লকের বিডিও তুলিকা দত্ত ব্যানার্জী, হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাঝি মাছ চাষিদের শুভেচ্ছা জানান। মাছ চাষিদের পাশে ব্লক প্রশাসন সর্বদা পাশে আছে বলে জানান। মাছ চাষে ‘শ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ অর্জন করতে ওডিশার ভুবনেশ্বরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের তিন জন মাছ চাষি৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকের দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের অরুপ মন্ত্রী, বসান চক গ্রামের শরত চন্দ্র ভৌমিক, ও ডিঘাসিপুর গ্রামের কৃষ্ণ প্রসাদ সামন্ত।