রাহুল গান্ধীর পথে হেঁটেই এ বার ইস্তফা দিলেন এই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি। যার ফলে ভোটের পর থেকেই পদত্যাগের ধারা অব্যাহত রইলো কংগ্রেসে।
এদিন সকালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, “প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী সোমেন মিত্র গত ২৪শে মে লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। যদিও লোকসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন তথাপি সেদিনই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। সহ কর্মীদের অনুরোধে তিনি প্রদেশ সভাপতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর অনড় মনোভাবের পরে তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধীই তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। যখন তিনিই কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন তাঁরও প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব আঁকড়ে থাকার কোনও মানে হয় না। গত পরশু তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন।”
১৯৯৮ সালেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কমিউনিকেশন প্রধান অমিতাভ চক্রবর্তী জানান, সোমেন মিত্রের পদত্যাগের কথা জানতে পেরে সোমবার দিল্লিতে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ সোমেন মিত্রর সঙ্গে দেখা করেন এবং এআইসিসি তাঁর পদ্যত্যাগপত্র গ্রহণ করবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। সোমেন মিত্রকে নতুন উদ্দমে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন তিনি।
আগামী ১৯ জুলাই জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের ডাকা সভা থেকেই রাজ্য কংগ্রেসের রোড ম্যাপ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন গৌরব গগৈ। সেদিন সভাতে এআইসিসি-র প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিন গগৈ বলেন, “জাতীয় স্তরে নতুন কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা হওয়ার পরে, তিনিই স্থির করবেন কোন রাজ্যে কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন। তাই সোমেন মিত্রের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হবে না।” যার ফলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠালেও দল যে আপাতত তা গ্রহণ করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে গগৈ-এর বক্তব্যে।