কেন্দ্র যে বরাবরই বাংলাকে বঞ্চনা করে আসে, এমন অভিযোগ উঠে আসে বারংবার। শুধুমাত্র কেন্দ্রের উদাসীন মনোভাবের জন্যই যে আটকে আছে বাংলার বেশ কিছু প্রকল্প তাও আগেই প্রমাণিত হয়েছে। এবার ফের সামনে এল বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ঔদাসীন্যতার কথা। কেন্দ্রের সদ্য প্রকাশিত বাজেটে যে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে বাংলার চা-বাগানকে তা জানালেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
চা-বাগানকে উপেক্ষা করার প্রসঙ্গে পার্থ বলেছেন, “আমরা খুব উদ্বিগ্ন কারণ চা–বাগান পুরোপুরি অবহেলিত হচ্ছে। এই চা–বাগানগুলির পুনরুজ্জীবনের কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে নেই। বিপন্ন চা–বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের সাপ্তাহিক মজুরি দেওয়া হয়। অথচ বলা হচ্ছে বাগান এলাকায় ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু কোথায় ব্যাঙ্ক? চা বাগানের উন্নতির প্রসঙ্গ যেভাবে এড়িয়ে যাওয়া হল এই বাজেটে তাতে করে এই বাজেটকে কোনমতেই জনমুখী বলা যাচ্ছে না”।
পার্থ আরও বলেছেন, “ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিষয়ে উল্লেখ না করে চা–বাগানগুলিকে আরও রুগ্ন করে তুলছেন। রাজ্য সরকার চা–বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে আগেও ছিল, এখনও আছে। তাঁদের সবরকমের সুযোগ সুবিধে রাজ্য সরকারই দিচ্ছে। তাঁদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার দিকে খেয়াল রাখছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু মোদী সরকার আদতে যে মানুষের জন্যে কোনও কাজ করে না তা ফের প্রমাণিত হল”।
গতকাল বিধানসভায় পার্থ বাংলার বেকারত্ব হ্রাস প্রসঙ্গও তুলে আনেন। পার্থ বলেছেন, “রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ ৬ গুণ বেড়েছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সেই হার ৭.২৬ শতাংশ। আমাদের রাজ্যে বেকারত্বের হার কমার দিকে যাচ্ছে”। তিনি কেন্দ্রীয় বাজেটের কয়েকটি দিক উল্লেখ করে বলেন, “দেশে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ। সেই সঙ্গে আমাদের রাজ্যে জনসংখ্যা অনুপাতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কর্মসংস্থানে জাতীয় গড়ের তুলনায় এ রাজ্যে কর্মসংস্থান অনেকটাই বেড়েছে”।