দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণার দিন, শুক্রবারই ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। আর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস, সোমবারে তা আরও ভয়াবহ চেহারা নিল। যা রীতিমতো ঝাঁকুনি দিল লগ্নিকারীদের।
প্রসঙ্গত, এবার বাজেটে অতি ধনী, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার এবং ট্রাস্ট-সহ ব্যক্তি সমষ্টির সংগঠনের (অ্যাসোসিয়েশন অব পার্সনস) ক্ষেত্রে আয়করে সারচার্জের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতের বাজারে লগ্নি করা বিদেশি ট্রাস্ট, পেনশন ফান্ডও এর আওতায় পড়ছে। বাজার সূত্রের খবর, এই সবেরই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সূচকের ওপরে।
উল্লেখ্য, গতকাল একটা সময়ে সেনসেক্স ৯০৭ পয়েন্ট পড়ে যায়। বাজার বন্ধের সময়ে তা হয় ৩৮,৭২০.৫৭ অঙ্ক। পতনের বহর ৭৯২.৮২ পয়েন্ট। আর ২৫২.৫৫ পয়েন্ট পড়ে নিফটি দাঁড়ায় ১১,৫৫৮.৬০ অঙ্কে। সোমবারের পতনে বাজার থেকে মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীদের ৩.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছরে এখনও পর্যন্ত এটাই বৃহত্তম পতন। আবার ডলারের সাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। প্রতি ডলার ২৪ পয়সা বেড়ে ৬৮.৬৬ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, উঁচু আয়ের করদাতাদের সারচার্জ বাড়ার ফলে তাদের কর কার্যত বাড়বে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। ২ কোটি থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত তা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ৫ কোটির বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ। যার ফলে মূল কর, সারচার্জ এবং শিক্ষা সেস মিলে করের সর্বোচ্চ হার দাঁড়াচ্ছে ৪২.৬৪ শতাংশ। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে।
পতনের কারণ হিসেবে তাঁরা আরও কয়েকটি বিষয়কেও চিহ্নিত করেছেন। যেমন- বাধ্যতামূলক ভাবে নথিভুক্ত সংস্থার ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব, বৃদ্ধির গতি ফেরাতে স্পষ্ট দিশা বাজেটে না-থাকা। গাড়ি শিল্পকে ত্রাণ না-দেওয়া, পেট্রোল-ডিজেলে শুল্ক বাড়ানো ও বাড়তি সেস বসানোর প্রস্তাব ইত্যাদি।