মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে ‘কাটমানি’ ইস্যু নিয়ে সরব হওয়ার পরেই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুমন্ত চৌধুরী ওরফে নান্টি নামের সিঁথির এক প্রোমোটার। অভিযোগ ওঠার পরই অবশ্য সাংসদ বলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে এবং তিনি মানহানির মামলা করবেন৷
এবার সেই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন৷ পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ফৌজদারি মানহানি মামলাও। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি শান্তনু জানান, কলকাতা হাইকোর্টে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন তিনি। শিয়ালদহ আদালতে করেছেন ফৌজদারি মানহানি মামলা৷
উল্লেখ্য, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেন৷ এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতিও। সেই শান্তনুর বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুমন্ত চৌধুরী নামের সেই প্রোমাটার।
দমদমের সিঁথি এলাকায় প্রোমোটারি করেন সুমন্তবাবু। কিছুদিন আগে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘২০১২ সাল থেকে তোলার টাকা দিয়ে আসছি আমি। এর আগে, কলকাতা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন শান্তনু সেন। সিঁথিতে তিনি এই অলিখিত সিন্ডিকেট প্রথা চালু করেন। ২৫ হাজার টাকা তোলা নিয়ে হাতেখড়ি করেন। কেন টাকা দেব, জানতে চাইলে বলেন, গাড়ি ভাড়া এবং মাইক লাগানোর খরচ রয়েছে। তাই টাকা দিতে হবে।’’ ওই প্রোমোটারের আরও অভিযোগ, কাজ হোক বা না হোক শান্তনু সেনকে কাঠা প্রতি দু’লক্ষ টাকা দিতে হত৷
ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘‘১৯৭৫ সাল থেকে ইট, বালি, সিমেন্টের ব্যবসা আমার। কিন্তু ২০১২-র পর থেকে কিছু বিক্রি করতে পারি না। নিজের কাজেও অন্যের থেকে চড়া দামে সব কিছু কিনতে হয়। এ ভাবেই আপস করে চলছিলাম এত দিন পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহস দেওয়ায় তাই মুখ খুলেছি৷ কেউ কাটমানি নিয়ে থাকলে তা ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মিথ্যে অভিযোগে নিজের জালেই ফেঁসে গেলেন তিনি।