দেশের বিভিন্ন জায়গা, এমনকী এই বাংলাতেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বলানো নিয়ে মারধর, এমনকী প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিজেপি সমর্থকদের এহেন সন্ত্রাসে তটস্থ দেশবাসী। রীতিমতো বাধ্য করা হচ্ছে দলীয় স্লোগানে গলা মেলাতে। এই ঘটনারই তীব্র প্রতিবাদ করলেন নোবেলজয়ী অর্থবিদ অমর্ত্য সেন। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর এই বক্তব্যের পর আসরে নেমেছেন একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব।
দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারা দেশের অন্যতম এক মহান ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণে নেমেছেন। অমর্ত্য সেনের যোগ্যতা ও অবদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বিতর্কিত মন্তব্যে মেতেছেন তাঁরা। এইবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বয়সকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাবুল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘তাঁর বয়স কথা বলছে, মস্তিষ্ক বা অন্য কিছু নয়৷ সেই কারণেই জয় শ্রীরামের মানে বুঝতে পারেননি উনি।’
সেইসঙ্গে বাবুল আরও লেখেন, ‘বাংলায় জয় শ্রীরাম প্রতীকী প্রতিবাদের ধ্বনি, এর সঙ্গে ধর্মের যোগ নেই। জয় শ্রীরাম ধ্বনি অবশ্যই মানুষকে প্রহারের জন্য ব্যবহার অনুচিত৷।বরং এই ধ্বনি ব্যবহার হচ্ছে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর লড়াই হিসাবে।’
বাবুলের এই মন্তব্যে রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের শিক্ষিত সমাজ কোনোভাবেই এইরকম বক্তব্য মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা ধিক্কার জানিয়েছেন। সবার মনেই এক প্রশ্ন ঘোরে কি করে দেশ তথা বাঙালির গর্বকে কি করে এমন ভাষায় আক্রমণ করতে পারেন গেরুয়া শিবির? শিক্ষার ক্ষেত্রে এমন উদাহরণ কি মানায় বিজেপি নেতা-নেত্রীর?