সেই নোট বাতিল থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশে তৈরি হওয়া অসহনীয় পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বারবারই মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এবার শহরে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতীচী ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান বাংলার সংস্কৃতি নয়। এসব ইদানীংকালের আমদানি। লোককে প্রহার করতে হলে এখন এ সব বলা হচ্ছে।’ যার ফলে শুক্রবারের পর শনিবার ফের এই প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গতকাল দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘অমর্ত্য সেনদের কথা শোনার লোক নেই। আজ কমিউনিস্টরা শেষ। আর সেকুলাররা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষ অমর্ত্য সেনদের মতো বুদ্ধিজীবীদের কথা আর শুনছে না। শুনলে নির্বাচনে এই ফলাফল হত না। মানুষ দু’হাত তুলে জয় শ্রীরাম বলছেন। সারা ভারতেই মানুষ যা বলছে, বাংলাও তার বাইরে নয়। অমর্ত্য সেনরা আসবেন, সরকারি পয়সায় খাবেন, চলে যাবেন। বাংলার কোনও দায়িত্ব নেবেন না।’ আর আজ শনিবার এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘অমর্ত্য সেন হয়ত বাংলাকে চেনেন না। উনি কি বাংলা বা ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন? প্রত্যেক গ্রামে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠছে। গোটা বাংলা এই স্লোগান দিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেছিলেন, ‘আমাদের একজন নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। তিনি কী করেছেন, বাংলার কেউ বোঝে না! কী দিয়েছেন দেশকে? এমন লোকেদের নিয়েও আমরা গর্ব বোধ করি, যাঁর চরিত্র নেই, মেরুদণ্ড নেই। এঁদের কেনা যায়, বিক্রি করা যায়, চমকানোও যায়।’ উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, ‘আজ যখন শুনি বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ ভীত, শঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরোন এই শহরে, তখন আমার গর্বের শহরকে চিনতে পারি না।’ তিনি এ-ও বলেন যে, জয় শ্রীরাম, রাম নবমী— এ সব কিছুর সঙ্গেই বাঙালির কোনও যোগ নেই।