এক ধাপেই সংসদে গুরুত্ব এবং দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে দীর্ঘদিনের তৃণমূল সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষদস্তিদারের। এবার লোকসভার ‘প্যানেল অব চেয়ারপার্সনে’র তালিকায় তৃণমূল সাংসদের নাম ঘোষণা করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। আর নাম ঘোষণা হতেই সভায় উপস্থিত তৃণমূল সাংসদরা তো বটেই, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকেও টেবিল চাপড়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
এই নিয়ে প্যানেল অব চেয়ারপার্সনে মোট ১০ জনের নাম ঘোষণা হল। যার মধ্যে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির চারজন রয়েছেন। বাকি ছ’জন অন্য দলের। যার মধ্যে কংগ্রেসের কে সুরেশ, বিজেডির ভতৃহরি মেহতাব, ডিএমকের এ রাজা, ওয়াইএসআরসিপির পিভি মিথুন রেড্ডি, আরএসপির এন কে প্রেমচন্দ্রনের নাম আগেই ঘোষণা হয়েছিল। অবশেষে ঘোষণা হল তৃণমূলের কাকলিদেবীর নাম। উল্লেখ্য, আসনে যখন স্পিকার থাকেন না, তখন সভাপতি হিসেবে লোকসভা পরিচালনা করেন প্যানেল অব চেয়ারপার্সনের তালিকায় থাকা সাংসদরা।
প্রসঙ্গত, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো স্পিকারের কাছে দু’-দু’বার নাম দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এতদিন ঘোষণা হচ্ছিল না। সূত্রের খবর, বিজেপির শরিক শিবসেনাও তাদের পক্ষ থেকে প্যানেল অব চেয়ারপার্সনের তালিকায় নাম যুক্ত করতে স্পিকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। তাই দুজনের মধ্যে কাকে নির্বাচন করা হবে, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। তাই শেষমেশ কাকলিদেবীর নাম ঘোষণা হওয়ায় খুশি ঘাসফুল শিবির।
অন্যদিকে, লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সংসদে এলাকার ইস্যু তুলে ধরেন। জিরো আওয়ারে গঙ্গার ভাঙন এবং বন্যা প্রতিরোধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। আবার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির প্রসঙ্গে যাতে কোনও পক্ষপাতিত্ব না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভির সঙ্গে দেখাও করেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশ্ন জমা দিয়েছিলাম। লিখিত জবাবও এসেছে। তবে সময় না হওয়ায় মৌখিক প্রশ্ন করা যায়নি বলেই মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম।