চেন্নাইতে জল নেই৷ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায় খরা৷ নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে দিল্লি সহ দেশের বেশ কয়েকটি বড় শহরের অবস্থা চেন্নাইয়ের মতো হবে৷ দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামে এখনই জলসঙ্কট তীব্র৷ দিল্লিতে তো উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গার জল আনার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শুধরেছে৷ সংসদেও এখন নিয়মিত জল সমস্যার কথা উঠছে৷ যেমন উঠল বৃহস্পতিবার৷ সেখানেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্প নিয়েছেন আট বছর আগে থেকে৷ তাতে ভালো ফল হয়েছে৷ এ রকম প্রকল্প কেন অন্য রাজ্যেও নেওয়া হবে না? উল্লেখ্য, সংসদে মমতার এই প্রকল্প ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে৷
দেশের অধিকাংশ রাজ্যে কৃষকরা বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পান, আর সেটা থেকে তৈরি হচ্ছে একটি গুরুতর সমস্যা৷ জলস্তর কমে যাওয়ার সমস্যা৷ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত লোকসভায় জানিয়েছেন, বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য কৃষকরা খেতে যথেচ্ছ জল ব্যবহার করছেন৷ একে ধানচাষের জন্য ভারতেই সবথেকে বেশি জল ব্যবহার করা হয়৷ তার ওপর বিনা পয়সার জল বলে তার অঢেল ব্যবহার হচ্ছে৷ অন্য জায়গায় ধান চাষ হয় ভারতের থেকে আটভাগ কম জলে৷ আমাদের দেশে বাড়িতে কম জল ব্যবহার করার এবং জল সঞ্চয়ের কথা বলা হয়, কিন্তু কৃষকদের জল ব্যবহার নিয়ে কিছু বলা বা করা হয় না মোদী সরকারের তরফ থেকে৷ শেখাওয়াত জানিয়েছেন, কিছু রাজ্য এখন কম জলে হয়, এমন ফসল করার জন্য কৃষকদের ভর্তুকি দিচ্ছে৷ যেমন হরিয়ানায় ভুট্টা উৎপাদনের জন্য একর পিছু দু হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ তারপর উৎপাদিত মকাই পুরোটাই রাজ্য কিনে নিচ্ছে৷ মহারাষ্ট্রেও আখ চাষ করার জন্য ড্রিপ ইরিগেশনের ব্যবহার করার জন্য রাজ্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে৷
কিছু সাংসদ যথেচ্ছ অত্যন্ত গভীর বোরওয়েল করার কথা তোলেন৷ দাবি ওঠে যে, কতটা গভীর পর্যন্ত বোরওয়েল করা যাবে তা নিয়ে একটা কেন্দ্রীয় আইন করা হোক৷ শেখাওয়াত বলেন, জল হল, রাজ্যের বিষয়৷ তাই কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও আইন করতে পারে না৷