সব আশঙ্কা মিথ্যে করেই ফের জীবন ফিরে পেতে চলছেন মৃন্ময়। তেহট্টের বাসিন্দা বছর ৩০-এর মৃন্ময় বিশ্বাসের স্বপ্ন ছিল ডব্লিউবিসিএস পড়বেন। তবে মনের জোর প্রবল থাকলেও স্বপ্নের উড়ানে বাঁধ সাধছিল শরীর। গত একবছর ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। বলার অপেক্ষা রাখে না ক্রমশ মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছিল সে।
দীর্ঘ এক বছর ধরে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন মৃন্ময়। হঠাৎই আন্দুল হাসপাতাল থেকে অঞ্জনা ভৌমিক নামে জোকার এক গৃহবধূর ব্রেন ডেথের খবর আসে। তারপরই অঞ্জনার পরিবারের তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অঞ্জনার হৃদযন্ত্র, ত্বক, কিডনি, লিভার এবং চোখ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে।
এবার ফের একবার অঙ্গ প্রতিস্থাপনে নজির গড়ল শহর কলকতা। এর আগে গ্রিন করিডরে কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হলেও এবার গ্রিন করিডর দেখল পুলিশি কামাল, সকালের ব্যস্ত রাস্তাতেও মাত্র ১২ মিনিটেই আন্দুল থেকে এসএসকেএমে পৌঁছায় হৃদযন্ত্র। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কিডনি, লিভার এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন। অপারেশন চলছে এসএসকেএমে।
শুধু মৃন্ময় নয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, লিভার পাচ্ছেন বারাসতের বছর ৫৩-র প্রৌঢ়া রিনা শীল। দুটি চোখ পৌঁছে গিয়েছে মুকুন্দপুরের শঙ্কর নেত্রালয়ে। লিভার এবং হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে এসএসকেএমে। ত্বকও পাঠানো হয়েছে এসএসকেএমের স্কিন ব্যাঙ্কে। তবে ফুসফুস সংরক্ষণের কথা উঠলেও তা সফল হয়নি। অঙ্গ প্রতিস্থাপন এ রাজ্যে নতুন নয়।