বাড়িতে বিয়ের পরিবেশ, ছেলে বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে আনছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তখন কনেবরন, বাঙালি আচারের তোড়জোড় চলছে। বিশাল প্যান্ডেল। সানাই বাজছে। আত্মীয়স্বজন, অতিথিদের ভিড়ে গমগম করছে তারকেশ্বর আস্তারা দত্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কেশব ঘোষের বাড়ি। রবিবার বিয়ে ছিল তাঁর ভাইপো অর্থাৎ কেশববাবুর বড়ভাই কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষের ছেলে কৌশিক ঘোষের। তার মধ্যেই ঘটল বিপত্তি। বউ বাড়ি এলে বরণের পালা শেষ হতে না হতেই জনা পঞ্চাশেক মুখঢাকা দুষ্কৃতী লাঠিসোঁটা হাতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করল ওই বাড়িতে। ব্যাপক মারধর করা হল বাড়ির সদস্যদের। মারের হাত থেকে বাঁচেননি বিয়ে করে বউ নিয়ে সদ্য বাড়ি ফেরা কৌশিকও। নববধূর সামনেই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় পাঞ্জাবি। বিয়ের জোড় হাতে তা দাঁড়িয়ে দেখেন ওই বধূ। কৌশিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর বাবা কৃষ্ণচন্দ্রবাবুও। এমনকী অনুষ্ঠানে আসা অতিথি, আত্মীয়স্বজনদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে।
মিনিট দশেক তাণ্ডব চালিয়ে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সকলকে নিয়ে তারকেশ্বর থানায় পৌঁছোন কেশববাবু। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সদ্যবিবাহিত দম্পতিকে বিয়ের বস্ত্র পরা অবস্থাতেই নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বিজেপি–র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে থানার সামনে শুরু হয় অবস্থান। ছিলেন তারকেশ্বর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত, উপপুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু, তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব প্রমুখ। থানায় অভিযোগ দায়ের করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে দিলীপবাবু দত্তপুর গ্রামে কেশববাবুর বাড়িতে যান। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি–আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।