এজবাস্টনে ইংল্যান্ড খেলা শুরুর আগেই যা হারিয়ে বসে আছে তা হল, গ্যালারির সমর্থনের উইকেট। যা পরিস্থিতি, ব্রায়ান লারার ৫০১ নট আউট বিশ্বরেকর্ডের স্মৃতিজড়িত মাঠকে রবিবার কোহালিদের ঘর আর মর্গ্যানদের বিদেশ বিভুঁই মনে হতে পারে। গ্যালারিতে ইংরেজদের ছাপিয়ে ভারতীয় জনতার গর্জন এতটাই জোরালো হয়ে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস!
ঘটনা হচ্ছে, আইসিসি-র দেওয়া তথ্য ইংরেজরাও বিশ্বাস করছেন না। তাঁদের মতে, গ্যালারিতে ৫৫ শতাংশ নয়, আরও বেশি করে তেরঙ্গার উপস্থিতি থাকবে। এ দিন প্রেস বক্সেই ইংরেজ বিশেষজ্ঞদের কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম, ‘‘আইসিসি প্রকাশ করতে চাইছে না। সংখ্যাটা ভারতের পক্ষে সত্তর-তিরিশ হলেও অবাক হব না।’’ এত দিন কোহালিরা যেখানে যাচ্ছিলেন, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর বৃষ্টি ছায়ার মতো অনুসরণ করছিল। বার্মিংহামে তাঁদের স্বাগত জানাল ঝলমলে রোদ এবং কলকাতার কাছাকাছি গরম। শনিবার মাঝদুপুরে তিরিশ ডিগ্রির উপরে উঠবে বলেও পূর্বাভাস ছিল।
আইসিসি থেকে সরকারি ভাবে বলা হচ্ছে, রবিবারের ম্যাচের জন্য ৫৫ শতাংশ টিকিট কিনেছেন ভারতীয় সমর্থকেরা। বাকি ৪৫ শতাংশ ইংরেজ দর্শক। সরকারি হিসেবেই ভারতীয়রা এগিয়ে। যা কার্যত নজিরবিহীন। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ফুটবলে নেমার বনাম মেসি হচ্ছে আর সেখানে আর্জেন্টিনার ভক্তদের সংখ্যাধিক্য, ভাবাই যায় না! রবিবাসরীয় এজবাস্টন তাই অতীতের সব হিসেব ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে।
কোহালি বনাম জোফ্রা আর্চারের ভাগ্য কী? যশপ্রীত বুমরা না জো রুট, কে জিতবে দুই তারকার লড়াইয়ে? মহম্মদ শামির বাউন্সার কি নড়বড়ে করে দেবে শর্ট বলে দুর্বল অইন মর্গ্যানকে? আইপিএলে মইন আলির আক্রমণের জবাব দিতে পারবেন কুলদীপ যাদব? ক্রিকেটীয় দ্বৈরথের মীমাংশা হতে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত। কিন্তু দু’দলের মধ্যে জনসমর্থনে কারা এগিয়ে, তার ফল ম্যাচের এক দিন আগেই বেরিয়ে পড়েছে।