অবশেষে খোঁজ মিলল বিহারের আরজেডি নেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের সন্তান তেজস্বী যাদবের। এবারের লোকসভা ভোটে তাঁর নেতৃত্বেই বিহারে লড়াই করেছিল দল। আর ভোটের খারাপ ফল হওয়ার পর থেকেই তেজস্বীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিহারে এনসেফেলাইটিসে শতাধিক শিশুর মৃত্যু হলেও তাঁকে প্রকাশ্যে এসে একটিও কথা বলতে শোনা যায়নি। শুক্রবার বিহারে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানেও যাননি বিধায়ক তেজস্বী। অবশেষে শনিবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট তিনি লিখেছেন, এতদিন হাঁটুর চিকিৎসা করাচ্ছিলাম।
২৯ বছরের তেজস্বী টুইটারে লিখেছেন, “বন্ধুগণ, কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার চিকিৎসা চলছিল। হাঁটুতে সমস্যা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। রাজনৈতিক বিরোধীরা এবং মিডিয়ার একাংশ আমার অনুপস্থিতি নিয়ে নানা মশলাদার খবর বানিয়েছে। সেসব শুনে আমি মজা পেয়েছি।”
অনেকে তেজস্বীর সমালোচনা করে বলেছিলেন, রাজ্যে যখন এত শিশুমৃত্যু হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতা হিসাবে তাঁর চুপ থাকা শোভা পায় না। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “এনসেফেলাইটিসে যেভাবে শতাধিক দরিদ্র শিশু মারা গিয়েছে, তা দুঃখজনক। আমি পুরো ঘটনার ওপরে নজর রেখেছি।”
পরে দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “জন্মের পর থেকেই আরজেডি গরিব মানুষের লড়াইয়ের কেন্দ্রে থেকেছে। নির্বাচনে খারাপ ফল হয়েছে বলে লড়াইয়ের স্পিরিট নষ্ট হয়ে যায়নি। আমি বিহারের মানুষ এবং দলের কর্মীদের বলতে চাই, আমরা নতুন উৎসাহে গরিবদের নানা ইস্যু নিয়ে লড়াই করতে চাই।”
এবার আরজেডি আরও চারটি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়াই করেছিল। তার মধ্যে ছিল লালুর পুরানো শরিক কংগ্রেস। ভোটে বিপর্যয়ের পরে তেজস্বী একবারই প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছিলেন। পরাজয়ের কারণ খুঁজে বার করার জন্য দলের এক বৈঠকে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। পরে তাঁকে আর দেখা যায়নি। আরজেডির একাংশ বলছেন, পরাজয়কে মেনে নিতে পারেননি তেজস্বী। ভোটের ফল বেরোনর পর থেকে তিনি যেন রাজনীতিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।