এ বারের বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় ক্রিকেট দল। খেলা নিয়ে সে ভবে বিতর্ক না হলেও বিতর্ক উঠল তাদের গেরুয়া জার্সি নিয়ে। জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০ জুন তাঁদের দেখা যাবে এই জার্সিতে। ভারত ও ইংল্যান্ডের জার্সির নীল রং মিলে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এ বারের বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সব দলকে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দু’টি আলাদা রঙের জার্সি তৈরি রাখার নির্দেশ দেয় আইসিসি। বিসিসিআই-এর তরফে অ্যাওয়ে জার্সি হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গেরুয়া জার্সি। কিন্তু জার্সির রঙ গেরুয়াই কেন? বিশ্বকাপে কেন টিম ইন্ডিয়াকে গেরুয়া জার্সি পরতে হবে? এমন প্রশ্ন তুলেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমি।
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বিরাট কোহলিদের নীল জার্সি গায়েই দেখা গিয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁরা পরবেন কমলা রঙের জার্সি। কেন? কারণ প্রায় একই রঙের জার্সি ইংল্যান্ডের। হোম টিমের অ্যাডভান্টেজ পাবেন মর্গ্যানরা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে যে জার্সি পরে ইংল্যান্ড খেলেছিল, তেমনই দেখতে তাদের এবারের জার্সি। দুই দলকে যাতে সহজেই আলাদা করা যায়, সেই জন্যই অন্য রঙের জার্সি গায়ে চাপাতে হবে ধোনি-কোহলিদের। তবে পুরো গেরুয়া নয়। জার্সির সামনেটা গাঢ় নীল। স্লিভস এবং পিছনের দিকটা কমলা রংয়ের। ইতিমধ্যেই নতুন জার্সির লুকও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর তারপরই এতে লেগেছে রাজনীতির রং। বিধায়ক আবু আজমির দাবি, মোদী গোটা দেশকে গেরুয়া রঙে মুড়ে দিতে চাইছেন। আর সেই কারণেই বিশ্বকাপে ভারতের জার্সির রং বদল হচ্ছে।
এই জার্সি নিয়ে কংগ্রেস ও সমাজবাদি পার্টি অভিযোগ তোলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, সব কিছুতেই গেরুয়া রং আনতে চাইছে বিজেপি সরকার। ভারতের জাতীয় পতাকায় তিনটি রং থাকলেও ইচ্ছা করেই গেরুয়া রংকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা নাসিম খান বলেছেন, “মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁরা এই গেরুয়া রাজনীতি শুরু করেছে। ভারতীয় পতাকার তিনটি রংকেই সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু এই সরকার সব কিছুকেই গেরুয়া করে দিতে চাইছে।” যদিও ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণ জানিয়েছেন, জার্সির রং নিয়ে এখনই তাঁদের কিছু বলার নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকেই তাঁদের ফোকাস। অরুণ বলেন, ‘‘উই ব্লিড ব্লু।’