রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ হিসাবে গৃহীত হলেও কেন্দ্রের আপত্তিতে এখনও আটকে রয়েছে এই নামবদল। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তিতে এই নাম বদল শিকেয় উঠেছে। এবার রাজ্যসভায় এই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘বাংলাকে কেন এখনও পশ্চিমবঙ্গ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, এই নিয়ে বাঙালি জনসমাজে অসন্তোষ জমা হচ্ছে। কারণ পূর্ববঙ্গের কোনও অস্তিত্ব কোনও কালে ছিল না। যেটা পূর্ব পাকিস্তান ছিল আজ তা বাংলাদেশ হয়ে গেছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার এই প্রস্তাবটিকে যত দ্রুত সম্ভব স্বীকার করে এই নাম পরিবর্তন করা হোক’।
২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে পাশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলায় ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দীতে ‘বাঙ্গাল’ করার প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু গত জুলাই মাসে মোদী সরকার বলে ৩ টি নয়, ইংরেজি হিন্দী এবং বাংলা – তিন ক্ষেত্রেই বাংলা নাম ব্যবহার করতে হবে। সেই মর্মে আগের প্রস্তাবটির সংশোধনী পাঠাতে হবে। সেই মতো বিধানসভায় সংশোধনী পাশ হয়। কিন্তু টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি সরকার বাংলার নাম বদল আটকাচ্ছে রাজনৈতিক কারণেই। মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নাম বদলে উদ্যোগী হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, মোগলসরাই স্টেশনের নাম বদলে রাখা হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। আবার দিল্লীর ঔরঙ্গজেব সরণির নাম বদলে এপিজে আবদুল কালামের নামে রাখতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু যত বিরোধিতা ‘বাংলা’ নামের ক্ষেত্রেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধিতা করার জন্যই পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা করা আটকে রেখেছে তারা। এবার রাজ্যসভায় এই নিয়েই সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর।