মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্পের দৌলতে, বাংলা আবারও জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন দখল করেছে। এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের জেরেই মমতার হাত ধরে বাংলার মেয়েরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখে।এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের পরিসর আরও বাড়ালেন মমতা। বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও এবার থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
এবার বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরাও কন্যাশ্রী পাবে। জেলায় জেলায় এমনই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে বলা হয়েছে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করবে। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে বেসরকারি স্কুলের নাম পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার ওই বেসরকারি স্কুলের নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দিলে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ওই স্কুলকে। এরপর ওই বেসরকারি স্কুলের সকল ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবে। এতদিন বেসরকারি স্কুলের মেয়েরা কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিল। এবার থেকে তারাও কন্যাশ্রী পাবে। এতে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে বন্দিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কৃত হয়েছেন এজন্য। এবার থেকে বেসরকারি স্কুলের মেয়েরাও কন্যাশ্রী পাবে।
একইসঙ্গে কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীর পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমাও তুলে দেওয়া হয়েছে। সকল ছাত্রীই এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। কে ১, কে ২, কে ৩ প্রকল্পে অষ্টম থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়ুয়ারা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এরাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। এ জন্য তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে পুরস্কৃতও হয়েছেন। আগে কন্যাশ্রী পেতে হলে ছাত্রীর পারিবারিক আয় বছরে দেড় লক্ষ টাকার নীচে থাকতে হতো। নতুন নিয়মে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা কিছু থাকছে না। অর্থাৎ সকল ছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় এসেছে।