মঙ্গলবার লর্ডসে মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম দুই প্রধান শক্তি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এ বারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচ খেলে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১০। হেরেছে একমাত্র ভারতের কাছে। অন্য দিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও ছয় ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় প্রথম চারেই রয়েছে ইংল্যান্ড। এই মহাযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে চান মর্গ্যানেরা।
আইসিসি ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে মরগ্যান বলেন, ‘রান তাড়া করে জিততে হলে ভালো জুটি গড়ে ওঠা প্রয়োজন। আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় সাময়িক একটা পার্টনারশিপ গড়ে উঠলেও তা দীর্ঘায়িত হয়নি। ফলে বেন স্টোকস অপরাজিত ৮২ ও জো রুট ৫৭ রান করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা অসাধারণ বল করেছে। যাই হোক, অতীত মনে রাখতে চাই না। আগামী সপ্তাহে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য সতীর্থদের কাছে আবেদন রেখেছি। সতীর্থদের বলেছি, চূড়ান্ত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কেউই সবক্ষেত্রে ধারাবাহিক জেতে না। হারও খেলার অঙ্গ। তবে এই হারের প্রভাব দীর্ঘায়িত হোক, তা চাই না। বিশ্বের সেরা দলের বিরুদ্ধে যেভাবে খেলা উচিত, সেইরকম ক্রিকেটই আমাদের খেলতে হবে।’
মঙ্গলবার লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলে অনেকটাই ধাক্কা খাবে ইংল্যান্ডের কাপ জয়ের স্বপ্ন। তাই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে কোনও রকম শিথিলতা দলে চাইছেন না ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পরে তিনি জো রুটদের ড্রেসিংরুমেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্যাট হাতে অনেকেই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারছেন না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৩২ রান তাড়া করতে নেমে বেন স্টোকস ও জো রুট রান পেলেও ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা বড় রান পাননি। তাই ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ড কোচ। বলছেন, ‘‘ব্যাটিংয়ে সময় দিতে হবে। শুরুতে উইকেটে থিতু হয়ে তার পরে মন দিতে হবে জুটি গড়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, ক্রিজে গিয়ে আমাদের কোনও কোনও ব্যাটসম্যানের মাথায় এই জুটি গড়ার ব্যাপারটা থাকছে না। কিন্তু এটাই যদি শুরু থেকে করা যায়, তা হলে ভাল জায়গায় থাকবে দল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে ব্যাটসম্যানদের।’’
ইংল্যান্ড কোচ বেলিস যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সতর্ক তখন অস্ট্রেলিয়া দল আবার ফুটছে তাদের দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথ সে কথা জানিয়ে বলছেন, ‘‘এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বড় ভরসা এই দুই পেসার। ওদের পিছনে দলের সাপোর্ট স্টাফ অনেক সময় দিয়েছে। উদ্দেশ্য, ওদের চনমনে মেজাজে মাঠে পাওয়া। নয় দিনে চারটে ম্যাচ খেলার পাশাপাশি, প্রায় সাতশো কিলোমিটার সফর করতে হবে। তার ধাক্কায় বা চোট-আঘাতে এই দু’জনের ছন্দ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য দলের ফিজিয়ো থেকে ট্রেনার ও চিকিৎসক সকলেই কড়া নজর রেখেছে।’’