এই বিশ্বকাপে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেনি আফগানিস্তান। পাঁচটি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হেরেছে তারা। শনিবার দ্য রোজ বোওলে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান বেশ আবেগপ্রবণ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রশিদ বলেছেন, ‘একদিনের খারাপ পারফরম্যান্সে মানুষ দশ দিনের সাফল্য ভুলে যায়। কেউ মনে রাখতে চায় না রশিদ শেষ দশ দিনে কতটা ভালো খেলেছিল। এটাকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। ইংল্যান্ড ম্যাচের ব্যর্থতা মনে রাখতে চাই না।’
আজ বিরাটদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে রশিদ বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবছি না। সমস্যা হচ্ছে, লোকে ভাল দশটা দিনের কথা মনে রাখে না। বারবার খারাপ একটা দিনের কথাই বলে। রশিদ তার আগের দশ দিন কী করেছে সেটা কিন্তু বলতে চায় না।’’ ওয়ান ডে র্যাঙ্কিং-এ তিন নম্বরে এবং টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে থাকা এই স্পিনার যোগ করেছেন, ‘‘বোঝার চেষ্টা করছি ম্যাচে কী কী ভুল করেছি। যা হয়েছে তাকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে চাই।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের অভূতপূর্ব উন্নতির পিছনে তাঁর বড় অবদান রয়েছে। আইপিএলেও দারুণ বোলিং করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছিল আফগানিস্তান। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, বিশ্বকাপের মূল পর্বেও আফগানরা নজর কাড়বে। কিন্তু পাঁচটি ম্যাচেই রশিদ খান, মহম্মদ নবিদের পারফরম্যান্স মোটেও চোখ টানেনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্রী পারফরম্যান্সের পর দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্যতম সিনিয়র হিসাবে যার দায় কোনওভাবেই এড়াতে পারেন না রশিদ। তিনি বলেছেন, ‘আপাতত আমি ব্যর্থতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছি। আর সেগুলি দ্রুত শুধরে নেওয়াই আমার লক্ষ্য। সমালোচনা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বিষয়টিকে খুব বেশি জটিল করে ফেলতে চাই না।’
রশিদ স্বীকার করেছেন শক্তিশালী দেশগুলির বিরুদ্ধে আগে খেলতে না পারা ব্যর্থতার অন্যতম কারণ, ‘‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশের বিরুদ্ধে আগে বেশি খেলিনি। তাই চাপ ছিলই। তার উপর বিশ্বকাপের মতো জায়াগায় চাপ বেড়ে যাবেই। ওয়ান ডে-তে এই প্রথম আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেললাম। আর অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেললাম ২০১৫ বিশ্বকাপের পরে। চার বছর পরে একটা দলের বিরুদ্ধে নামলে সমস্যা হবেই।’’ রশিদ এটাও স্বীকার করেছেন, বোলিংয়ে আরও নজর দিতে হবে। ‘‘পেস বোলিংয়ে আমাদের সমস্যা আছে। আমাদের দরকার এমন বোলার যে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করবে। ’’