বাম জমানায় তাঁদের দেওয়া হয়েছিল ‘মাওবাদী’ তকমা। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তুলে ৩ কৃষক নেতাকে সেইসময় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবশেষে ১৪ বছর পর ঘটলো শাপমোচন। তাঁদের বেকসুর মুক্তি দিলো আদালত। ঘুচল ‘মাওবাদী’ তকমা। এদিকে মামলা চলাকালীনই ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে একজনের। তিনিও হয়তো আজ ‘বেকসুর খালাস’ পেলেন!
২০০৫ এর বাম জমানা। মাওবাদী সমস্যায় জেরবার জঙ্গলমহল। সেই সময়ই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুশীল রায়, পতিত পবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথকে। ৩ জনের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পুলিসের অভিযোগ ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে জিলেটিন স্টিক, কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।
শুনানির পর নিম্ন আদালত তিন জনকেই যাব্বজীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। রায়ের বিরোধিতা করে একবছর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনজন-ই। দাবি করেন, তাঁদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসাচ্ছে পুলিস। যে ঘর থেকে জিলেটিন স্টিক সহ অন্যান্য সন্দেহভাজন জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা সেই ঘরেই থাকতেন না।
এতদিন ধরে মামলা চলার পর অবশেষে আজ মুক্তি পেলেন তাঁরা। কোর্টে তাঁদের বেকসুর মুক্তির নির্দেশের দিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীদের আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ অভিযোগ করেছেন, মিথ্যে মামলায় হেনস্থা করা হয়েছিল তাঁদের। অবশেষে সত্যের জয় হলো। মিললো মুক্তি।