হয় ধারাভাষ্য নয় আইপিএলে নিজেদের মেন্টর পদ। দুটো কাজ একসঙ্গে করা যাবে না। স্বার্থের সংঘাত প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন এমনই আদেশ জারি করলেন৷ চলতি আইসিসি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় ২০ জন ভারতীয় ক্রিকেটার৷ শুধু সচিন, সৌরভদেরই নয়, এঁদের প্রত্যেককেই যে কোনও একটি কাজ বেছে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এথিক্স অফিসার মনে করেন যে, সচিনরা লোধা কমিটির নির্দেশিত স্বার্থের সংঘাতের শর্ত ভঙ্গ করছেন৷ বোর্ডের নতুন সংবিধানে স্বার্থের সংঘাতের যে নীতি রয়েছে, তার ৩৮ (৪) ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, একজন ব্যক্তি একই সময়ে যে কোনও একটি পদেই আসীন থাকতে পারবেন৷ যে পদগুলির কথা সেখানে উল্লেখ করা রয়েছে তা হল, (১) বর্তমান ক্রিকেটার, (২) নির্বাচক/ক্রিকেট কমিটির সদস্য, (৩) টিম অফিসিয়াল, (৪) ধারাভাষ্যকার, (৫) ম্যাচ অফিসিয়াল, (৬) প্রশাসক/অফিস বেয়ারার, (৭) নির্বাচনী আধিকারিক, (৮) ওম্বাডসম্যান/এথিক্স অফিসার, (৯) অডিটর, (১০) কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যানেজমেন্টের সদস্য বা চাকুরে (১১) কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, (১২) সিইও/ম্যানেজার, (১৩) কোনও রাজ্য সংস্থার অফিস বেয়ারার, (১৪) আইনী বা অর্থিক সার্ভিস প্রোভাইডার, (১৫) কন্ট্রাকচুয়াল পার্সন ও (১৬) কোনও ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মালিক৷
হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, পার্থিব প্যাটেলদের ক্রিকেট ছাড়ার পর কমেন্ট্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকারান্তরে৷ বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সুনীল গাভাসকর, অনিল কুম্বলে, সঞ্জয় মঞ্জরেকর, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, গৌতম গম্ভীরদেরও৷ এথিক্স অফিসারের এমন ফতোয়ার পর সচিনদের তরফে কী প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়, তা দেখার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেটমহলের একাংশ মনে করছেন যে, এটা প্রকারান্তরে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকভাবে হেনস্থা ও অপমানের সামিল৷