চিকিৎসা ব্যবস্থাকে থমকে দেওয়ার যে হিড়িক গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে, তাতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট সিনিয়ার চিকিৎসকেরা। তাই রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের
পরিবেশ কাটাতে ফের একবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
এনআরএস কাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। মমতার ডাকে সাড়া না দিয়ে নবান্নে না যাওয়ার ঘোষণা ইতিমধ্যেই করে দিয়েছেন জুনিয়ররা। তবে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত যে পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করবে তা অনুমান করেই এদিন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অনেক সিনিয়রই। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের একবার নবান্নে আলোচনায় যেতে রাজি হলেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এই প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ দে জানান, ‘জটিলতা আরও না বাড়িয়ে ওদের উচিৎ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেওয়ার। আলোচনায় বসার। যত শীঘ্র এই সমস্যার সমাধান হয় সেটা দেখতে হবে আমাদের প্রত্যেককে’।
এর আগে আন্দোলনকারীদের খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, রোগীদের কথা ভেবে অবিলম্বে কাজে ফিরুন চিকিৎসকরা। পরিষেবা চালু করুন তাঁরা। যারা চিকিৎসক নিগ্রহে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে। তাদের জামিন খারিজ করে আদালত। হাসপাতালে কোনওরকম গন্ডগোল হলে রাজ্যের তরফে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্নদের দিয়েছেন তিনি।
এদিকে রাজ্যের গত এক সপ্তাহের ঘটনার জেরে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তার মধ্যে হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া পরিজনদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা, হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো, পুলিস ফাঁড়ির মতো বিষয়গুলির উল্লেখ রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে প্রশাসনকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। পুলিসের পদস্থ অফিসাররা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন হাসপাতালগুলিতে।
![জুনিয়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট – মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে নবান্নে বৈঠকে সিনিয়র ডাক্তাররা](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/06/25-2.jpg)