দার্জিলিং সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান মুকুল রায়। তৃণমূলী সন্ত্রাসের অভিযোগের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে এমনই দাবি করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্ত ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুকুল রায়ের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাংলা ভেঙে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উসকে দিলেন মুকুল?
মুকুলের নেতৃত্বে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। অই দলে মুকুল রায়ের সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত ও সায়ন্তন বসু। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল বলেন, ‘আমরা দার্জিলিঙের ব্যাপারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে চাই’। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন?
দীর্ঘদিন ধরে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি করে আসছেন বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এর আগে প্রয়াত সুবাস ঘিসিংয়ের গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টও একই দাবি করে এসেছে। ২০১৪ নির্বাচনে দার্জিলিংয়ের ভোটে মূল ইস্যু ছিল গোর্খাল্যাল্ড। বিমল গুরুংদের দার্জিলিং ভেঙে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপিও। এবার কি বাংলা ভাগ করার পথেই এগোতে চাইছে তারা, মুকুলের মন্তব্যে সেই প্রশ্ন উঠছে।
কারণ, এর আগে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াও গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। আর বিজেপি যে ছোট রাজ্যের পক্ষে তা কারও অজানা নয়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাতে মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তরাখণ্ড ও বিহার থেকে ঝাড়খণ্ডের জন্ম হয়েছিল। এবার তারা বাংলা ভাগ করতে চাইছে, মুকুলের মন্তব্য থেকে সেটা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।