ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত বাংলায়। ফের বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। শনিবার কাকভোরে বোমা-গুলির লড়াইয়ে ঘুম ভাঙে ডোমকলের কুচিয়ামোড়া গ্রামের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ খুনের নেপথ্যে সিপিএম থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারীদেরই দায়ী করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
অভিযোগ, ব্যাপক বোমাবাজি করতে থাকে গেরুয়া শিবিরের দুষ্কৃতীরা৷ খুব কাছ থেকে গুলি চালায় আততায়ীরা৷ গুলি লাগে নিহত পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের ছেলে সোহেল রানা, ভাই খাইরুদ্দিন মণ্ডল এবং প্রতিবেশী রহিদুল শেখের৷ রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই লুটিয়ে পড়ে তারা৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান তিনজনেই। ঘটনার পরই কুচিয়ামোড়া গ্রামে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে চলেছে পুলিশি টহলদারি।
লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই কুচিয়ামোড়া গ্রামে খুন হন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলতাফ সেখ। আজ শনিবার যে তিনজন খুন হয়েছেন তাদের মধ্যে দু’জন আলতাফের পরিবারেরই সদস্য। খাইরুদ্দিন আলতাফের দাদা ও সোহেল রানা আলতাফের ছেলে। আলতাফের পরিবারের অভিযোগ, আলতাফের মৃত্যুর পর থেকেই বিজেপির লোকজন এবং আলতাফের খুনিরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। সম্প্রতি তারা জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সংঘগঠিতভাবে হামলা চালিয়েছে তারাই।