মহাকাশে ভারত রাজ করার ভাবনা শুরু করেছে। মহাকাশে স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা শুরু করে দিল ইসরো। যা তৈরি হলে হবে মহাকাশে দ্বিতীয় সক্রিয় স্পেস স্টেশন। আর তা নিয়ে যাবতীয় ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অন্দরে। এই মুহূর্তে মহাকাশে একটিমাত্র স্পেশ স্টেশন সক্রিয় রয়েছে। যা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হিসেবে পরিচিত। এর আগে এই ধরনের স্পেস স্টেশন ছিল আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের। কিন্তু, সেগুলির কোনওটিই আর সক্রিয় নয়।
ইসরো জানিয়েছে, অন্য কোনও দেশের সঙ্গে এই মিশনের জন্য কোনও চুক্তি করবে না ভারত। এই মিশনটি গগনযান মিশনেরই বর্ধিত রূপ। গগনযান মিশনের জন্য ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। ২০২২ সাল নাগাদ মহাকাশে প্রথম নভশ্চর পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। তবে, তাঁর আগে একাধিক মহাকাশযান শ্রীহরিকোটা থেকে পাঠানো হবে। চলতি বছরের জুন বা জুলাই মাসে জি স্যাট-৩০ উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ইসরো। এদিকে, জুলাই মাসের ১৫ তারিখ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান-২’। বুধবার এই কথা ঘোষণা করেছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র প্রধান কে শিবান।
তাঁর কথায়, গগনযান মিশনের সাফল্যের জন্যই ভারত পৃথক স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিকভাবে ২০৩০-সালের লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে। তাঁর আগেই স্পেশ স্টেশন তৈরি করে ফেলা যাবে বলে আশাবাদী ইসরোর কর্তারা। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশে ২২ টনের একটি স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। মহাকাশে নভশ্চরদের ১৫-২০ দিন থাকার ব্যবস্থা করা হবে ওই স্পেস স্টেশনে। এই কাজটি যে অত্যন্ত কঠিন এবং খরচসাপেক্ষ সে কথা বলাই বাহুল্য। আর এটি যদি হয়ে যায় তাহলে ভারতের ক্ষেত্রে এটি একটি ভারতের পক্ষে বড় সাফল্য হবে বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিক মহল।