ভোট প্রচারে এসে বারংবারই বাংলায় এনআরসি চালু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি ছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘অনুপ্রবেশ’ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপির অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরাও। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ঘটা হিংসার ঘটনায় নিজেরাই নিজেদের ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে রোহিঙ্গা মদতের অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে এই অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই এবার খোদ বিজেপির ওপরই চাপ বাড়াল বিহারে এনডিএ শরিক তথা নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। সম্প্রতি, দলের মুখপাত্র অজয় অলোক টুইটারে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষ দিলে চলবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত কঠোর হওয়া। বিশেষত অমিত শাহ নিজেই যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
শুধু তাই নয়, বুধবারের টুইটে বিগত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিএসএফ আধিকারিকদের ‘সম্পত্তি নিয়ে খোঁজ’ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন এই জেডিইউ নেতা। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের একা লড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিজেপি-এলজিপির সঙ্গে শুধু বিহারের ভিতরেই জোট। বিহারের বাইরে বিজেপিও জেডিইউয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী। নীতীশের এ হেন সিদ্ধান্তে আগেই অস্বস্তিতে বেড়ে গিয়েছিল মোদী-শাহদের। এবার তিনি সরাসরি মমতার পাশে দাঁড়ানোয় আরও খানিকটা বেকায়দায় পড়ল গেরুয়া শিবির।