লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরেই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন যে, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে এবার সরতে চান তিনি। তারপরেই কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক ডাকে। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সভাপতি রাহুল গান্ধীই থাকবেন। যদিও তিনি সেই সিদ্ধান্তে নিমরাজি ছিলেন। জানা যাচ্ছে, পদত্যাগের সিদ্ধান্তে নাকি এখনও অনড় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ ফলে বাধ্য হয়েই বিকল্প খোঁজার রাস্তায় নেমেছেন কংগ্রেস সংসদীয় কমিটি৷
প্ল্যান বি-র পথে হেঁটে নতুন অন্তর্বতীকালীন সভাপতি খোঁজা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর৷ যদি সত্যিই কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেন রাহুল গান্ধী, তাহলে সেই পদে সাময়িক ভাবে কে বসবেন, তার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে শীর্ষ মহলে৷
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই হয়তো নাম ঠিক করে ফেলেছে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ড৷ অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বর্ষীয়ান নেতা একে অ্যান্টনির নাম উঠে এসেছে৷ যতদিন না নতুন স্থায়ী সভাপতি পাচ্ছে দল, ততদিন পর্যন্ত অ্যান্টনিই দলের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও, একাধিকবার দলের শীর্ষ নেতারা রাহুল গান্ধীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন৷ তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ লাভ হয়নি৷
কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের নিজের বিকল্প খোঁজার ভার দিতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ তিনি নাকি বলেছেন আমার বিকল্প খুঁজুন৷ এই ইস্যুতে একাধিকবার বৈঠক করেন রাহুল৷ সেখানে দলের নতুন সভাপতি খোঁজার পরামর্শ দেন তিনি৷ কারণ এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, যে সভাপতির পদ থেকে সরছেন তিনি৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তের বদল হবে না বলেই কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে৷ জানা গেছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এতটাই ভেঙে পড়েছেন, যে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে চাইছেন না৷ তাঁর যাবতীয় বৈঠকও বাতিল বলেই ঘোষণা করেছেন রাহুল৷