ভোট পরবর্তী সময়ে ও ভোটের আগে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল নৈহাটি, কাকিনাড়া, জগদ্দল চত্বরে। তার রেশ এখনো চলছে। ভোট মিটে গেছে, ভোটের ফল ঘোষণার পরও অশান্তির জের চলছেই। ফের নৈহাটি পুরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি ভরত ঘোষ৷ অভিযোগ, ভরতবাবু যখন সপরিবারে নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় বিজেপির কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইঁট ছুড়তে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় নৈহাটি থানায়৷
ভোর পরবর্তী হিংসার আঁচে পুড়েছে নৈহাটি৷ ওই এলাকার বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়ে যায়৷ তাঁদের ফের ঘরে ফেরাতে গত ৩০ মে বিকেলে নৈহাটি পুরসভার সামনে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তোপ দাগেন মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে৷ ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকাতেও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে দ্রুত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে বলেন।
আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। নৈহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আফিসটি বিজেপি দখল করে নিয়েছিল ভোটের পর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নৈহাটিতে এসে এই দলীয় কার্যালয়টি পুনরুদ্ধার করেন। আমি সেই কার্যালয়টি দেখাশোনা করি। সেই আক্রোশেই এই আক্রমণ হতে পারে”।