লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোতেই রাজ্যজুড়ে দাপট দেখাতে শুরু করেছে গেরুয়া বাহিনী। শুরু হয়েছে খুনোখুনি। গেরুয়া শিবিরের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তান্ডবে রাজ্য জুড়ে চলছে হিংসার আবহাওয়া। নিমতায় তৃণমূল কর্মী খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার হিংসার ছবি উঠে এল বসিরহাটে।
বসিরহাটে শনিবার কর্মিসভা চলাকালীন, হামলা চালিয়ে তৃণমূলকর্মী কায়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করা হয়। এরপর বাইরে টেনে এনে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকার হাটগাছিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের কর্মিসভা চলছিল। ৪০-৫০ জন কর্মী সেখানে ছিলেন। আচমকা বিজেপির ১০-১২ জন হার্মাদ সেখানে ঢুকে হামলা করে। কায়ুমের মাথায় গুলি করে, নৃশংস ভাবে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তৃণমূলকর্মী।
জ্যোতিপ্রিয়র অভিযোগ, বিজেপির তিন সাংসদের প্ররোচনাতেই এই খুন। তিন দিন আগে বসিরহাটে গিয়ে তাঁর প্ররোচনা দিয়ে এসেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি, গেরুয়া বাহিনীর উস্কানিতে সিপিএমের হার্মাদরা ফের জেগে উঠেছে। তারা এখন বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছে। এদিন যারা হামলা চালিয়েছে, তারাও গেরুয়ায় গিয়ে মেশা সিপিএমের হার্মাদ বলেই তাঁর দাবি।
অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, তৃণমূলের পোস্টার খোলা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত্। হাটগাছিতে বিজেপির লোকজন তৃণমূলের পোস্টার জোর করে খুলতে গেলে, দু-পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। তার জেরেই খুন করা হয়েছে তৃণমূলকর্মী কায়ুম মোল্লাকে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২ জন তৃণমূলকর্মী ভোট হিংসার বলি হলেন। নিমতায় সুপারি কিলার দিয়ে তৃণমূল নেতা নির্মল কুন্ডুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। আর তারপর আজ বসিরহাটে এই আর এক চিত্র। গেরুয়া সন্ত্রাসে বাংলা অশান্ত।