ভোটের ময়দানে বিরোধী দলগুলিকে লক্ষ্য করে বারবার মিথ্যে অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যা নিয়ে জনমানসে তুমুল হইচই শুরু হয়েছিল। আর তখনই সকলের অলক্ষ্যে গ্রেটার নয়ডাতে কয়েক মাসের চিটফাণ্ড কাণ্ডে প্রতারিত হল ২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ।
হালেই নয়ডা জুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাইক ট্যাক্সি পরিহণ পরিষেবারই এক চিটফাণ্ড প্রকল্প। ধীরে ধীরে বিস্তার করে তার শাখা-প্রশাখা। নাম ছিল বাইক বোট। যাতে টাকা রেখে এবার প্রতারিত হলেন দেশের সাধারণ মানুষ। ২০১৭ সালে সর্বসমক্ষে আসে এই অনলাইন অর্থিক লেনদেনের চিটফাণ্ডটি। যা নয়ডায় হওয়ায় সর্বকালের বৃহৎ চিটফাণ্ড কাণ্ড বলেই দাবি পুলিশের।
ইতিমধ্যে নয়ডা, জয়পুর, মথুরা, হায়দ্রাবাদ, বারানসী, এবং দিল্লি জুড়ে প্রায় ৪০ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এখনও প্রতিদিন অভিযোগ দায়ের হচ্ছে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে। সোশ্যাল ট্রেডের সদস্য অনুভব মিত্তল ইতিমধ্যে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন সঞ্জয় ভাটিয়া নামক এক ব্যক্তি। যিনি এক সময় বসপা-র সদস্য ছিলেন। অপর সদস্য বিজয় পাল কশাননকে স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাইক বোট নামে এই অ্যাপ ইনভেস্টমেন্ট সাইটে চলা চিটফাণ্ড টি ২০১৭ সাল থেকে জাল বিস্তার শুরু করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই ফান্ডে এককালীন ৬২ হাজার ১০০ টাকা ইনভেস্ট করলে, মাসে ৯ হাজার ৭৫৬ টাকা মাসে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ক্রেতাদের দিয়েছিল সংস্থা।
শুরুতে ভালো চললেও ২০১৮ সালে প্রথম টাকা দিতে ব্যর্থ হয় বাইক বোট। তারপরই একের পর এক গ্রাহক প্রতারিত হতে শুরু করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। প্রধানত ৭ হাজার মোটর সাইকেল নামিয়েছিল এই সংস্থা। যার মধ্যে ২ হাজার চলতো নয়ডায় ও বাকি ৫ হাজার চলত উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য শহরে। যেখান থেকে টাকা তোলাই মূল লক্ষ্য ছিল এই সংস্থার।