যথাযথ জনসংযোগের অভাবই খারাপ ফলাফল হয়েছে দলের৷ শুক্রবার তৃণমূল ভবনে হুগলী জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কারণ চিহ্নিত করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নিয়ম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংযোগে জোর দিতে হবে নেতা-মন্ত্রীদের৷ নিয়মিত ফেসবুক লাইভ করতে হবে’৷ এর জন্য আলাদা করে জনসংযোগ যাত্রা-সহ একগুচ্ছ নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
শুক্রবার হুগলী জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ফলাফল পর্যালোচনায় বসেছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শ্রীরামপুর, আরামবাগে তৃণমূল জয় পেলেও হাতছাড়া হয়েছে হুগলী কেন্দ্রটি৷ বড়সড় ব্যবধানে জিতেছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ কী কারণে এমন ফলাফল, সেদিকে আলোকপাত করা হয়৷ তারপরই মমতা বলেন, ‘হারানো জমি ফিরে পেতে হবে৷ তার জন্য সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে৷ এলাকায় পড়ে থেকে সকলের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে৷ প্রয়োজনে লিখিত আকারে সেসব অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে’৷ সিঙ্গুরে দলের হার মানতে পারছেন না নেত্রী মমতা। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘এই হার লজ্জার৷ নিজেদের জন্যই আমরা সিঙ্গুরে হেরেছি৷’
অন্যদিকে, ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র, ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের জমি ফেরাতে আগামী ১৪ তারিখ তৃণমূল নেত্রী নিজে যাবেন সেখানে বৈঠক করতে৷ ২১ জুন নদীয়া জেলার ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক তৃণমূল ভবনে৷
২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে জমি পুনরুদ্ধার করতে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। শুরু হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রা৷ ২১জুন চন্দ্রকোণা থেকে ঘাটাল পর্যন্ত প্রথম জনসংযোগ যাত্রার সূচনা হবে৷ উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল অর্থাৎ যেখানে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হয়েছে, সেসব এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে চলবে এই কর্মসূচী৷ ১৮ জুলাই পর্যন্ত তা চলবে৷ ২৫ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে ফের চলবে এই জনসংযোগ যাত্রা৷ নেতৃত্বে থাকবেন সুব্রত বক্সি৷
এদিন নীতি আয়োগ নিয়েও ফের তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগেও তিনি বারবার দাবি করেছেন, যোজনা কমিশন অনেক বেশি কার্যকরী ছিল৷ সেখানে রাজ্যগুলি নিজেদের দাবি পেশ করতে পারত৷ কিন্তু তার অবলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন তৈরি হওয়া নীতি আয়োগে রাজ্যগুলির নিজেদের কথা বলার তেমন সুযোগ নেই বলে অভিযোগ করেন৷ এদিন নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা, ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইভিএম কারচুপির অভিযোগে সরব হয়ে বিরোধী দলগুলির কাছে তাঁর আবেদন, কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে একজন নিরপেক্ষ কমিশনার নিয়োগ করার দাবি তুলতে হবে৷