ভোটের পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিজেপি ও সিপিআইএমের সন্ত্রাস। তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর, তৃণমূল সমর্থক হত্যা-বাদ যায়নি কিছুই। এবার দুই দলের যৌথ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে পথে নামল তৃণমূল। শুক্রবার দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার নেতৃত্বে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিলে পথে হাঁটলেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকাতে সিপিআইএম-বিজেপি যৌথভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাদের কর্মীরা একদিকে যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনি দলের কার্যালয় গুলিও এই যৌথ আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের একাধিক কর্মী-সমর্থক সিপিআইএম-বিজেপির হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ।
কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রবীর গড়াই এদিন বলেন, “লোকসভা ভোটে এই ব্লক এলাকায় বিজেপির পক্ষে বা তৃণমূল বিরোধী যে হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে ক্রমশঃ ঘুরতে শুরু করেছে। আর এই হাওয়া ঘোরার পিছনে তাদের দলের কোন ভূমিকা নেই, সিপিআইএম-বিজেপির যৌথ উগ্রপন্থামূলক কাজই সাহায্য করেছে।” একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, মানুষ বুঝে গিয়েছেন বিজেপিকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার দুই কেন্দ্রই হাতছাড়া হয়েছে শাসক দলের। এবার বাঁকুড়া জেলার পাশাপাশি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বাদে সব কটি বিধানসভা আসনেই পরাজিত হয়েছে ঘাস ফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে শাসক গোষ্ঠী।
বিজেপি ও সিপিআইএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিলে অংশ নিয়ে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা বলেন, “তৃণমূলকে পিছনে ফেলতে চক্রান্ত করে সিপিআইএম তাদের নিজস্ব ভোট বিজেপির কাছে বিক্রি করেছে। সিপিআইএম বিজেপির সাহায্য নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় ফিরে আসতে চেয়েছিল, কিন্তু মানুষ ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন কাদের ভোট দিয়ে তারা এই বাংলায় প্রবেশ করালেন।”
যারা দলকে ভুল বুঝে বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন আজ তাঁরাই তৃণমূলের মিছিলে পথ হেঁটেছেন বলে দাবি করেন তিনি। সিপিআইএম-বিজেপির যৌথ হার্মাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ গর্জে উঠেছেন ও তৃণমূলের সাথে সকলে একত্রিত হচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেন।