প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বিশ্রিভাবে হেরে পাকিস্তান পুনরায় জয়ের রাস্তায় ফিরেছে। হট ফেভারিট ইংল্যান্ডকে তারা দ্বিতীয় ম্যাচে বেশ ভালো খেলে হারিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাও প্রথম ম্যাচে হেরে তারপর জয় পেয়েছে। শুক্রবার মুখোমুখি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় আমূল পাল্টে দিয়েছে পাকিস্তান শিবিরের মেজাজ। আজ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মিকি আর্থার জানিয়ে দিলেন, তাঁর দল ‘নির্মম ক্রিকেট’ খেলার জন্য তৈরি। বৃহস্পতিবার সরফরাজ়দের কোচ বলে দিয়েছেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ক্রিকেট খেলেছিল পাকিস্তান, সেই মানসিকতা ধরে রাখতে হবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও। বরং আমি ওদের পরামর্শ দেব, তার চেয়েও নির্মম ক্রিকেট খেলে জয় নিশ্চিত করতে হবে।’’ আর্থার আরও বলেছেন, ‘‘টানা ১১টি ওয়ান ডে ম্যাচে হারের পরে ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয় দলের মানসিকতায় বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সেটাকেই ধরে রাখতে হবে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতে পাকিস্তানকে দেখলে যেন প্রতিপক্ষ আতঙ্কে থাকে, সেই আগ্রাসী মেজাজই ছেলেদের খেলায় দেখতে চাই।’’
শুধু তাই নয়। শেষ ম্যাচে মহম্মদ হাফিজ়, সরফরাজ় আহমেদ এবং বাবর আজ়মের ব্যাটিং দেখেও আশ্বস্ত আর্থার। তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা প্রমাণ করে দিয়েছে, যে কোনও ভাল বোলিং সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের শুরুটা ভাল করতে হবে। তা হলেই মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা বড় ইনিংস গড়ার কাজ খুব সহজেই সেরে ফেলতে পারবে।’’ আরও যোগ করেছেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা বোলিংকে খাটো করে দেখছি না। তবে এটাও জানিয়ে রাখা ভাল, ইংল্যান্ডের উইকেটের সঙ্গে আমাদের ব্যাটসম্যানরা খুব সুন্দর নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। ফলে আমরা আবার তিনশোর উপর রান তোলার ব্যাপারে আশাবাদী।’
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কাও বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ২০১ রানের পুঁজি নিয়েও জয় পেয়েছেন দিমুথ করুনারত্নেরা। ফলে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে হারানো মনোবল ফিরে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা দলও। তাদের কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংঘে জানিয়েছেন, ‘দলের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস সঞ্চারিত হয়েছে। জয়ের পথটা আর আমরা হারাতে চাই না। তবে আমাদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
কোচ চণ্ডিকা হাতুরাসিংঘা বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না, ক্রিকেটারদের নিজেদের দায়িত্ব কী, তা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শেষ ম্যাচে আমাদের ব্যাটিং মোটেও আশাব্যঞ্জক ছিল না। ফলে এই ম্যাচে সেই ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে হবে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘শেষ ম্যাচে কুশল পেরেরা যে ভাবে ব্যাটিং করেছে, তা দেখে বাকি সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ৫০ ওভারের ম্যাচে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা খুবই দরকার। তা হলেই বড় রান চলে আসে।’’ পাক বোলিং সম্পর্কে শ্রীলঙ্কা দলের কোচ জানিয়েছেন, ‘‘ওদের বোলিং বিভাগটা অনেক বেশি পরিণত। তা ছাড়া ইংল্যান্ড ম্যাচে জয় পাক বোলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে রেখেছে। আমাদের তাই অনেক বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’’