স্বপ্ন যে শুধু দেখার জিনিস তা নয়, স্বপ্ন বাঁচারও জিনিস সেটা প্রমাণ করল ‘দ্য বং আনটোল্ড’- যে শব্দ জুড়ে জুড়ে অনুভূতি সাজিয়ে, বেঁচে থাকার গল্প শোনায়। হাতড়ে প্রেম খুঁজে মরে যাওয়ার সময়ে, ভালোবাসার চারাগাছ রোপণ করছে ‘দ্য বং আনটোল্ড’। ইউটিউব চ্যানেল খোলার ৫ মাসের মাথায় যাদের হাতের মুঠোয় সিলভার প্লে-বাটন।
এই সময় দাঁড়িয়ে একটা বাংলা চ্যানেলের পাশে যেভাবে মানুষ দাঁড়িয়েছেন তাতে আপ্লুত কৃষ। তিনি জানাচ্ছেন, “সিলভার প্লে বটন পাওয়াটা যেমন আবেগের তার থেকেও বড় পাওয়া ছিল মানুষের ভালবাসা৷ আর এই সিলভার প্লে বাটন আমাদের আরও দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে৷ মানুষের এই তুমুল সমর্থন আমাদের আরও ভালো করে কাজ করার তাগিদ যোগায়৷ আমরা সবাই একটা পরিবার একসঙ্গে হাতে হাত ধরে আমরা এগোচ্ছি৷ যেভাবে ৫ মাসে আড়াই লক্ষের বেশি সমর্থন পেয়েছি আমরা তাতে আরও ভালো কিছু উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব”৷
“জানেন দাদা আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না”…বাংলা না ‘আসা’র এই সময়েও বাংলা নিয়েই স্বপ্ন দেখা মুখের কথা নয়৷ আর এই স্বপ্নেরই নাম দ্য বং আনটোল্ড, যা কিনা বাংলার প্রথম মৌলিক কবিতার ইউটিউব চ্যানেল। এই সময়ে হিন্দিতে, ইংরাজীতে কবিতার নানা ইউটিউব চ্যানেল থাকলেও বাংলায় কবিতার তেমন কোনো মঞ্চ ছিল না। বাংলা কবিতাকে মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে দেবার জন্য প্রথম উদ্যোগ যে নিয়েছিল তাঁকে টলিপাড়া কৃষ নামেই চেনে। কিন্তু দ্য বং আনটোল্ডের কনসেপ্ট প্রথম মাথায় এসেছিল টলিউডের প্রধান সহকারী পরিচালক কৃষ্ণেন্দু বোসের ভাই শুভ্র বোসের। তারপর খোঁজার পালা চলেছিল কারা বাংলায় এই মূহূর্তে লেখালিখি করছেন। আর যারা এই লেখালেখিকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যেতে চান, কিংবা বলা ভালো যারা সাহিত্য শিল্পটাকে পছন্দ করেন তাঁদের নিয়েই শুরু হল পথ চলা।
দিনটা ছিল ৩০ শে ডিসেম্বর’ ১৮। প্রথম আত্মপ্রকাশ ইউটিউবে। তারপর আস্তে আস্তে ফোনের স্ক্রীন থেকে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া… তারপর কেমন করে যেন রাত আটটা মানেই ‘দ্য বং আনটোল্ড’-এর ভিডিওর জন্য অপেক্ষা করা তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা ‘আদত’ হয়ে গেলো। দ্য বং আনটোল্ডের প্রথম ভিডিও ছিল ‘কিভাবে কখন যেন ভালোবেসে ফেলি’। তারপর নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল, মরশুমি বদল ঘটেছে ইতিউতি, কিন্তু মানুষ দিনে দিনে আরো আপন করেছে দ্য বং আনটোল্ডকে।
দ্য বং আনটোল্ডের ডিরেক্টর কৃষের সঙ্গে প্রথম কথা হয় অভিষেক করের। তাঁর হাত ধরেই দ্য বং আনটোল্ডের প্রতি পাতায় নাম লেখা হয় আরো অনেকের। বহু জনপ্রিয় ভিডিও, যা মানুষকে ভাবাবে, রাতের অন্ধকারের অসহায়তা পেড়িয়ে নতুন আলোয় বাঁচতে শেখাবে। যেমন, ‘আমাদের আবার দেখা হবে, ভালোবাসা বাই লেন, ভালোবাসা ভালো থেকো, আর পাঁচটা প্রেমিকের মতোই উল্লেখযোগ্য।
একদিকে যেমন জীবনের নানা কথা বলে বাংলার প্রথম কবিতার চ্যানেল ঠিক তেমনই হাসিঠাট্টার আড়ালে সমাজের রুঢ়সত্যও তুলে ধরে ‘চুমু টু ঘুমু’-র মত সিরিজ৷ এভাবেই এগিয়ে যাক দ্য বং আনটোল্ড৷ আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দিক দর্শকদের৷ সিলভারের পর গোল্ড, ডায়মন্ড প্লে বাটনের অধিকারী হোক৷ মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিক দ্য বং আনটোল্ড- বেঙ্গল’স ফার্স্ট অরিজিনাল পোয়েট্রি চ্যানেল৷